স্যালাইন সংকটে ঝুঁকিপূর্ণ ডেঙ্গু পরিস্থিতি (ভিডিও)
হাসান ফেরদৌস, চট্টগ্রাম থেকে
প্রকাশিত : ১২:৪৮ পিএম, ৭ আগস্ট ২০২৩ সোমবার
সারাদেশের মতো চট্টগ্রামের হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগীর চাপ বাড়ছেই। এ রোগের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় নরমাল ও ডেক্সটোজ জাতীয় স্যালাইনের তীব্র সংকটে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। অভিযোগ উঠেছে, বাড়তি মুনাফার জন্য সরবরাহ কমিয়ে এই কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোই।
২৮ বছরের সূচি চাকমা। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে। চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে দেয়া হচ্ছে স্যালাইন। তবে হাসপাতাল ও আশেপাশের ফার্মেসিতে মিলছে না সেটি। নানা জায়গা ঘুরে স্যালাইন সংগ্রহ করতে পারলেও বাড়তি দাম নেওয়ার অভিযোগ সূচি ও অন্য রোগীর স্বজনদের।
স্বজনরা জানান, দোকানদার বলছেন সরবরাহ কম, দূর থেকে আনতে হচ্ছে। অনেক দোকানে পাওয়াও যাচ্ছেনা।
চাহিদা দিয়েও উৎপাদকদের কাছ থেকে স্যালাইন না মেলায় রোগী ও স্বজনদের ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে- দাবি ফার্মেসি মালিকদের।
ফার্মি মালিকরা বলেন, স্টক শেষ কিন্তু কোম্পানি থেকে আমরা পাচ্ছিনা।
সংকট মোকাবেলায় বিকল্প ব্যবস্থা নিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা. নুরুল হক বলেন, “আমরা সবসময়ে চেষ্টা করি কিন্তু এখন যদি কোনো কারণে কোম্পানি যদি সরবরাহ করতে না পারে সেক্ষেত্রে কিছুটা অসুবিধা ভোগ করি।”
স্যালাইনের এমন সংকট ও দাম বৃদ্ধি রোগীদের ফেলছে বাড়তি চাপে- বলছেন চিকিৎসকরাও।
চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক আইসিইউ সহকারী অধ্যাপক ডা. মিশু তালুকদার বলেন, “রোগী যখন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে তখন সবচেয়ে বেশি চেষ্টা করা হয় ফ্লুয়েড দিয়ে প্রেসার ধরে রাখা। সেই ফ্লুয়েডের দাম বাইরে বেড়ে গেছে।”
কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কেউ বাড়তি দাম নিলে ব্যবস্থা নেবে জেলা প্রশাসন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, “নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কেউ যদি বেশি নেয় বা চায় সেক্ষেত্রে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
চট্টগ্রামে জানুয়ারি থেকে আগস্টের প্রথম সপ্তাহে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ২৯০ জন। মারা গেছেন ২৭ জন, যাদের অর্ধেকই শিশু।
এএইচ