ভারত ও আমেরিকার সাংস্কৃতিক সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে : মার্কিন কনস্যুলার
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৪০ পিএম, ১১ আগস্ট ২০২৩ শুক্রবার | আপডেট: ১১:৪১ পিএম, ১১ আগস্ট ২০২৩ শুক্রবার
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এ ক্ষেত্রে দুদেশের শিল্পীরা উৎর্কষ সাধন করেছেন এবং প্রায়ই তারা সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিতে একে-অন্যকে সহায়তা করেন।
সম্প্রতি নয়াদিল্লির আমেরিকান সেন্টারে আয়োজিত এক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেছেন নয়াদিল্লির মার্কিন দূতাবাসের জনকূটনীতি বিষয়ক মিনিস্টার কনস্যুলার গ্লোরিয়া বারবেনা।
সামাজিক সমতা ও ন্যায়বিচার প্রচারের শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে বিভিন্ন শিল্পকর্ম ব্যবহার করেন এমন একদল শিল্পীকে একই ছাদের নিয়ে এসেছে এই প্রদর্শনী। প্রদর্শনীতে কিউরেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ওয়াই.এস. এলন এবং এতে অধ্যাপক কৌশল কুমারের শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বার্তা সংস্থা এএনআই-এর সঙ্গে আলাপকালে গ্লোরিয়া বারবেনা বলেন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র, দুই দেশই দীর্ঘকাল ধরে এমন একটি সমাজের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা সমতার অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হবে। আর এটি অর্জনের জন্য দুদেশকে এখনো কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, অসমতার দৃষ্টিকোণ এসব শিল্পকর্ম দেখলে আমাদের সবার জন্য বেদনাদায়ক। কিন্তু সামাজিক পরিবর্তন ও সচেতনতার প্রয়োজনের জন্য এই শিল্পীরা তাদের কণ্ঠস্বর ও প্রতিভা ব্যবহার করছেন, সে দিক থেকে দেখলে তা আবার আনন্দদায়ক। এ ধরনের প্রদর্শনী ও কণ্ঠস্বর বিশ্ব সম্পর্কে আমাদের সচেতনতা বাড়ায়। আমাদের মনে করিয়ে দেয় আমাদের এখনো অনেক কিছু করতে হবে।
সাংস্কৃতিক সংযোগ এবং ভবিষ্যতে এই জাতীয় আরও প্রদর্শনী আয়োজনের বিষয়ে বারবেনা বলেন, এটি করোনা মহামারির পরে অনেক আয়োজনের মধ্যে প্রথম হবে। শিল্প ও আলোপ-আলোচনার জন্য এ ধরনের জায়গার ব্যবস্থা করায় তিনি অনেক আনন্দিত হয়েছেন বলেও জানান। তিনি বলেন, নয়াদিল্লির আমেরিকান সেন্টার নিয়ে আমরা খুশি। এটি এই ধরনের আলোচনা ও শিল্পের জন্য এমন জায়গার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। করোনা মহামারির পরে অনেক আয়োজনের মধ্যে প্রথম এটি। দীর্ঘ বিরতির পরে আমরা আবারও জনগণের জন্য এ ধরনের আকর্ষণীয় আয়োজনের ব্যবস্থা করছি।
কেআই//