ঢাকা, শুক্রবার   ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৪ ১৪৩১

তাড়াশ থানার ওসির বিরুদ্ধে নারীর মামলা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:৩০ এএম, ১২ আগস্ট ২০২৩ শনিবার | আপডেট: ১০:৩৩ এএম, ১২ আগস্ট ২০২৩ শনিবার

হেনস্তার অভিযোগ এনে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ থানার ওসির মো. শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন মোছা: স্মৃতি ইসলাম হাওয়া (২৫) নামের এক নারী।

বৃহস্পতিবার বিচারক পিবিআইকে মামলাটি তদন্ত করার নির্দেশ দেন। এর আগে বুধবার তাড়াশ থানা আমলী আদালতে এ মামলা দায়ের করেন ওই নারী।

বাদী স্মৃতি ইসলাম হাওয়া সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানার সাতকুর্শী গ্রামের জামাল উদ্দিনের মেয়ে। তার বিরুদ্ধে নাটোরের গুরুদাসপুর থানার একটি ইয়াবা পাচারের মামলা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বাদী স্মৃতি ইসলাম হাওয়া গত ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার উত্তরার মোটরবাইকের একটি শোরুম থেকে পাঁচ লাখ আটত্রিশ হাজার টাকায় একখানা ইয়ামাহা ব্যান্ডের মোটরসাইকেল কেনেন। এজন্য বিআরটিএ অফিস থেকে গত ১৭ জুলাই মোটরসাইকেলটির যাবতীয় ট্যাক্স পরিশোধ করে রেজিট্রেশন করেন। তার অপেশাদার মোটর ড্রাইভিং লাইসেন্স লাইসেন্স নং- ডিকে ৩০৫১৮৩১০০সিএ ০০১। 

জানা যায়, হাওয়া খাতুন গত ২৫ জুলাই ঘটনার দিন তাড়াশ উপজেলা সদরের সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন মিলনের বাড়ির গ্যারেজে তার মোটরসাইকেলটি রেখে তাড়াশ থানার মোড়ে এটিএম বুথে টাকা উত্তোলন করতে যান। তখন তাকে রাস্তা রোধ করে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জিজ্ঞাসাবাদকালে জানতে চান তার মোটরসাইকেল কোথায়? বাদীনিকে নিয়ে গ্যারেজে রাখা মোটরসাইকেলে তল্লাশি করেন ওসি। 

মোটরসাইকেলের যাবতীয় কাগজপত্র দেখতে চাইলে, বাদীনি তার সাথে থাকা মোটরসাইকেলের রেজিট্রেশন, ট্যাক্স টোকেন ও  ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ যাবতীয় মূল কাগজ প্রদর্শন করেন। এসময় ওসি মো. শহিদুল ইসলাম সকল কাগজপত্র দেখে চাবি চান। চাবি নিয়ে এক পুলিশ সদস্যকে মোটরসাইকেলটি থানায় নিয়ে যেতে বলেন। হাওয়া খাতুন তাতে বাধা দিলে কুরুচিপুর্ণ মন্তব্য করেন ওসি। 

একপর্যায়ে মোটরসাইকেলটি জব্দ করার স্লিপ বা ডকুমেন্ট চাইলে ওসি হুমকি দিয়ে বলেন, কোনো প্রেসিডেন্ট আসলেও মোটরসাইকেল ছাড়ব না। ভুলেও আপনি আমার থানায় আসবেন না। আপনাকে যেন আমি কোনোদিন আর তাড়াশে না দেখি বলে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ করেন হাওয়া খাতুন।

তাড়াশ থার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল  ইসলাম বলেন, আইন মেনেই মোটরসাইকেলটি আটক করা হয়েছে এবং তাকে যথারীতি কেস স্লিপ দেয়া হয়েছে। আদালতেও আইনীভাবেই কাগজপত্র পাঠনো হয়েছে। তার সাথে পুলিশের পেশাদারিত্বে যেটুকু আচরণ সেটুকুই সর্বসাধারণের সামনে করা হয়েছে। বরং মামলার বাদীই পুলিশের সাথে অশালীন আচরণ করেছেন।

এএইচ