ইউক্রেন সেনাবাহিনীর ৩৩ আঞ্চলিক প্রধান বরখাস্ত
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৫৯ পিএম, ১২ আগস্ট ২০২৩ শনিবার
সেনাবাহিনীর ৩৩ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ঘুসগ্রহণ, মানবপাচার, সহায়তার অস্ত্র ও ত্রাণসামগ্রী চোরাই পথে বিক্রির অভিযোগ দেখিয়ে তাদের বরখাস্ত করা হয়।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দপ্তরের বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করা হয়েছে, তারা সবাই সেনাবাহিনীর বিভিন্ন শাখার আঞ্চলিক রিক্রুটমেন্ট কেন্দ্রগুলোর প্রধান।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গত মাসে ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ওডেসায় সেনা নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর এ বিষয়ক একটি তদন্ত শুরু করে সরকারের উচ্চপর্যায়ের একটি দল।
মাত্র এক মাসের সেই তদন্তে নিয়োগ দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা ও অপরাধমূলক তৎপরতা সংক্রান্ত ১১২টি অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউক্রেনীয় বাহিনীর বিভিন্ন আঞ্চলিক শাখার বিরুদ্ধে। বরখাস্ত কর্মকর্তাদের সবাই এসব অভিযোগের আসামি।
এ বিষয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ৩০ জনের বেশি কর্মকর্তাকে ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি করা হয়েছে এবং সব আঞ্চলিক সামরিক নিয়োগ কর্মকর্তাদের অপসারণ করা হয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ অব্যাহত থাকার মধ্যে এই পদক্ষেপ সশস্ত্রবাহিনীকে শক্তিশালী করার একটি উদ্যোগ।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিওতে জেলেনস্কি বলেছেন, কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নগদ ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণ বা লড়াইয়ের যোগ্য লোকদের ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার মতো অভিযোগ রয়েছে। ইউক্রেনের সাধারণ সেনা সমাবেশের নিয়ম অনুসারে যুদ্ধে সক্ষম ১৮ বছরের বেশি বয়সী সব পুরুষরা সেনাবাহিনীতে নিয়োগের উপযুক্ত। এছাড়া ৬০ বছরের কম বয়সী প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের দেশ ত্যাগ করা নিষিদ্ধ।
জেলেনস্কি বলেছেন, আমরা সব আঞ্চলিক সামরিক কমিসারদের বরখাস্ত করছি। এই ব্যবস্থাটি এমন লোকদের দ্বারা চালিত হওয়া উচিত যারা জানেন যুদ্ধ কী এবং কেন যুদ্ধের সময়ে হতাশাবাদ এবং ঘুষ নেওয়া উচ্চ রাষ্ট্রদ্রোহিতা।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া যুদ্ধে নিহত সেনাদের সংখ্যা ইউক্রেন বা রাশিয়া কেউই প্রকাশ করেনি। তবে উভয় দেশ সেনা নিয়োগের চেষ্টা করে যাচ্ছে।
এ বছর জানুয়ারিতে দুর্নীতির অভিযোগে ১১ সেনা কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছিল ইউক্রেন। তার পর চলতি বছর মে মাসে ঘুসগ্রহণের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় ইউক্রেনের প্রধান বিচারপতিকে। এখনো তিনি কারাবন্দি আছেন।
এমএম//