ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৭ ১৪৩১

ফরিদপুরে এ. কে. আজাদের শোক দিবসের তোরণে দুর্বৃত্তের হানা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৫০ পিএম, ১২ আগস্ট ২০২৩ শনিবার

জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফরিদপুরের বিভিন্ন স্থানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তৈরি করা তোরণের ছবি ছিঁড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা এ. কে. আজাদের নামে এ তোরণ তৈরি করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগের একাংশের বিরুদ্ধে ওই তোরণের ছবি ছেঁড়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে এ. কে. আজাদের নামে টাঙানো শোক দিবসের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার রাতের কোনো এক সময় সদর উপজেলার ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের ঈশান গোপালপুর বাজারে স্থাপন করা তোরণে  এ. কে. আজাদের ছবি ছেঁড়া হয়।

এর আগে ঈশান গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মজনু শুক্রবার সকালে তোরণ তৈরিতে বাধা দেন। পরে তোরণটি সরিয়ে অন্যত্র স্থাপন করা হয়।

এদিকে তোরণ নির্মাণে বাধা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম মজনু বলেন, যারা আওয়ামী লীগ করে তারা কোনোদিনও শোক দিবসের গেট নির্মাণে বাধা দিতে পারে না।

তিনি আরও বলেন, আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অভিযোগ করা হচ্ছে। এটা সত্য নয়। ব্যানারের ছবি কারা ছিঁড়েছে, সেটা খুঁজে বের করতে হবে। আমার কোনো কর্মী-সমর্থক এর সঙ্গে জড়িত নয়।

আশেপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা ঘেটে জড়িতদের খুঁজে বের করার দাবি জানান মজনু। তিনি বলেন, জড়িতদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয় কিছু নেশাখোর ও বখাটেরা এ ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারে।

এর আগে গত জুলাই মাসে সদর আসনের বিভিন্ন ইউনিয়নের এলাকাবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এ. কে. আজাদের পক্ষ থেকে টানানো প্রায় ২ শতাধিক ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ও কেটে ফেলা হয়। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে ফারুকুজ্জামান লিয়ন নামে এ. কে আজাদের একজন আত্মীয় ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।

ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি (অপারেশন) আব্দুল গাফ্ফার বলেন, শোক দিবসের তোরণের ছবি ছিঁড়ে ফেলার কথা শুনেছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।

এমএম//