ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২১ ১৪৩১

মেহনাজ এখন কোথায় যাবে?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৫৬ পিএম, ১২ আগস্ট ২০২৩ শনিবার

বাগেরহাট জেলার শরণখোলার সুন্দরবন সংলগ্ন গ্রামের পহলান বাড়ির মেয়ে মেহনাজ সৎ মা, ভাই ও বোনের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবে সেখান থেকে কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই অসহায় এই মেয়েটির।

জানা যায়, ১৭ জুলাই সৎ মা ও সৎ ভাই বোনেরা মাত্র এক কাঠা বাস্তুভিটা দখলের জন্য মেহনাজের উপর বর্বর নির্যাতন চালায়। পাথরের উপর দুই পা রেখে হাতুড়ি দিয়ে হাঁটুর নিচ থেকে তার দুই পা গুড়িয়ে দেয়। মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে পুলিশ উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে একটি মামলাও হয়েছে।

নানাবিধ অসুবিধার মধ্যেও মেয়েটি এতোদিন সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছিলো। দুই পায়ে ব্যান্ডেজ বাধা মেহনাজকে আজ শনিবারের মধ্যে হাসপাতাল ছেড়ে দিতে বলেছেন কর্তব্যরত ডাক্তার শাহনেওয়াজ। দু'পা অচল হয়ে যাওয়ায় মেহনাজ বাথরুমেও যেতে পারে না! হাসপাতালের বিছানাই একমাত্র ঠাঁই। এখন আশ্রয় ও চিকিৎসা সেবা থেকেও তাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে! 

উন্নত চিকিৎসার জন্য সুপারিশ চেয়ে এবং তার মেডিকেল সার্টিফিকেটের জন্য হাসপাতালের পরিচালক ডা. অসীম কুমার পোদ্দারের দরবারে বারবার গিয়েও কোন ফল হয়নি! দয়া, মানবিকতা আর ন্যায় বিচারের সব দরজাই যেন মেহনাজের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে! 

শুনেছি, অসহায় নারী ও শিশুদের সুরক্ষার জন্য সরকারের ওসিসি আছে! কিন্তু সারা বাগেরহাট খুঁজেও কারো কাছে তাদের সন্ধান পেলাম না। জেলা সিভিল সার্জনও নিরব, নির্বাক। প্রসাশনের এসব তুচ্ছ বিষয়ে নজর দেয়ার সময় নেই! মিডিয়া, মানবাধিকার সংস্থাগুলোও মেহনাজের ব্যাপারে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না! 

এমতাবস্থায়, বাগেরহাটের হৃদয়বান মানুষের কাছে আকূল আবেদন, সাত বছরের মেয়ে নওশীনকে নিয়ে মেহনাজ এখন কোথায় যাবে? জনগনের টাকায় গড়া এই হাসপাতালে এমন একজন রোগীর সুস্থ হওয়া পর্যন্ত যদি ঠাঁই না হয়, তাহলে এই সব চিকিৎসালয় কাদের জন্য?  কেউ কি আছেন, সদর হাসপাতালের ৫ তলায় গিয়ে অসহায় মেহনাজের পাশে দাঁড়াবেন? 
মেহনাজের নাম্বার: ০১৯৪৭-৮৬৭২২৭ 
কেআই//