ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

রাজনৈতিক কৌশলের দিকে তীক্ষ্ণ নজর দুই দলের (ভিডিও)

আতিক রহমান পূর্ণিয়া

প্রকাশিত : ১১:৪৮ এএম, ১৩ আগস্ট ২০২৩ রবিবার

আন্দোলনে ব্যার্থ হয়ে আগামি নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিবে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের নীতির্ধারকরা। বতর্মান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার অবস্থানে এখনও অটল বিএনপির শীর্ষ নেতারা। বলছেন, সরকারের কৌশল বুঝে সর্বোচ্চ গোপনীয়তার সাজাচ্ছেন পরবর্তী কর্মসূচি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য এরই মধ্যে নভেম্বরে তফসিল ঘোষণার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সে লক্ষে রোডম্যাপও ঘোষণা করা আছে।

কমিশন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে প্রস্তুতির কথা জানানোর পরপরই নড়েচড়ে উঠেছে আন্দোলনে থাকা বিএনপি এবং তার শরিকরা। প্রায় দুই সপ্তাহ বিরতি দিয়ে আবারও এক দফার নিয়ে মাঠে সরব হয়েছে বিএনপি। যদিও দলটির এবারের আন্দোলনও পুরোপুরি ব্যর্থ হবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, “বিএনপির সামনে কোনো পথ খোলা নাই নির্বাচনে না আসা ছাড়া। আন্দোলন যে সফল হবেনা এটা যারা আন্দোলন করছে তারাও বুঝে। তারা এটা বুঝে যে তারা ভুল পথে হাঁটছে।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “আমরা আন্দোলন করছি, এই আন্দোলনের সঙ্গে জনগণের স্বার্থ সম্পৃক্ত। এ আন্দোলন জনগণের দ্বারা সমর্থিত। আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার আন্দোলন করছিনা, আমরা ভোটাধিকারের আন্দোলন করছি, ভোটের অধিকারের আন্দোলন করছি। আমরা সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের কথা বলছি।”

রাজনৈতিক এই ডামাডোলের মাঝে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশন আলোচিত ইস্যু। বিএনপি নেতারা স্যাংশনকে তাদের অনুকূলের বিষয় মনে করলেও আওয়ামী লীগ বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দিতে চায় না।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, “স্যাংশনটা স্বাধীন দেশের নাগরিকদের জন্য লজ্জাজনক, এটা অপমানজনক। কিন্তু এই জাতিকে অপমান ও লজ্জায় ফেলতে যারা দায়ী তাদের বিচার হওয়া উচিত।”

আব্দুর রহমান বলেন, “বিধি-নিষেধ বা স্যাংশন, এর চেয়ে বড় কথা সরকার প্রধান বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নির্বাচনটা কিভাবে দেখতে চান। সুতরাং এই জায়গায় কে-কার কোন বাধ্যবাধকতা তৈরি করলো বা আরোপ করলো বিষয়টিকে আমরা একেবারেই বড় করে দেখিনা।”

দুই রাজনৈতিক দলই একে অন্যের কৌশলের দিকে তীক্ষ্ণ নজর রাখছে।

আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, “যে দলটা একটা বিদেশি শক্তির উপর এতোটাই নির্ভরশীল হয়ে গেছে যে, তারা কি বললো এবং কালকে কি বলবে সেই খবরের অপেক্ষায় সারা রাত জেগে থাকে। তাহলে সেই দলের ভবিষ্যৎ কি হতে পারে।”

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, “সরকার নানা কৌশলে আমাদের উপর একেক সময় একেকটা নিচ্ছে। সরকার যা বলে তা করেনা। আবার যা করে তাও কিন্তু আগে বলেনা।”

যেকোন সংকটমূলক পরিস্থির জন্য এক অন্যকে দায়ি করছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।

এএইচ