‘১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা`
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:৫৭ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০২৩ বুধবার
অপরাধী, দুর্বৃত্ত ও ষড়যন্ত্রকারী মোশতাক, জিয়া, চাষী, ডালিম, বজলুল হুদা, রশিদ, আজিজ পাশাসহ আরও কয়েকজন ষড়যন্ত্রকারী ও দুষ্টু ব্যক্তি কোনো কারণ ছাড়া ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল। সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হিসেবে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল।
'বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের মর্মান্তিক মৃত্যু এবং ২১ আগস্ট ২০০৪ একই ষড়যন্ত্রকারী' শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বক্তারা। শনিবার (১২ আগস্ট ২০২৩) ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারেরসদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
বক্তারা বলেন, শেখ হাসিনা একটি সুন্দর দেশ দিতে চেয়েছেন যেখানে। জনগণের কল্যাণের প্রাধান্য থাকবে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর সেনানী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির। তিনি করুণ ঘটনার বর্ণনা দেন এবং যুক্তি দেন যে, বঙ্গবন্ধু, জাতির পিতা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উভয়েই দেশের উন্নয়নে সচেষ্ট। কিন্তু দেশের কল্যাণ ও গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি ঠেকাতে ষড়যন্ত্রকারীরা জঘন্য অপরাধ করে।
প্রধান প্রবন্ধ উপস্থাপক হিসেবে প্রফেসর ড. আইরিন আক্তার,আইবিএ,জাহাঙ্গীরনার বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি সকল অপরাধীর শাস্তি দাবি করে বলেন, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা দেশের কল্যাণ করেছেন এবং এখন আমরা একটি গণতান্ত্রিক দেশে আছি যেখানে মানুষ উন্নতি করছে।
অনুষ্ঠানের সেশন চেয়ার হিসেবে অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ মাহবুব আলী বলেন, বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোরে তার ধানমন্ডি আক্রমণকারী একদল দুর্বৃত্ত কর্তৃক হত্যা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, ২১ আগস্টের হামলার লক্ষ্য ছিল শেখ হাসিনাকে হত্যা করা এবং আওয়ামী লীগের পুরো শীর্ষ নেতৃত্বকে নির্মূল করা, যারা দেশের উন্নয়ন করছে, একটি গণতান্ত্রিক উপায়।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্সের উদ্যোক্তা অর্থনীতিবিদ ক্লাবের সভাপতি জামাল হোসেন, এস এম সাব্বির হাসান, রিদম দেবনাথ, রেহানা পারভিন, সহকারী অধ্যাপক ডা. সারা তাসনিম, সহকারী অধ্যাপক শামীম আহমদ, প্রভাষক, ঢাকা স্কুল অব ইকোনমিক্স। আদিবের আবৃত্তি করা দুঃখজনক ঘটনার উপর একটি কবিতা যা লিখেছেন অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী।তারেক, পিয়াল, মন্ডিরাও দুঃখ শিরোনামের "যদি রাত পোহালে শোনা যেত, বঙ্গবন্ধু মরে নাই" গানটি গেয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা, ১৫ আগস্টের কবিতা " মুজিব মানে মুক্তি" লিখেছেন নির্মলেন্দু গুণ সবাই আবৃত্তি করেন।
অনুষ্ঠানে দুটি নৃশংস ঘটনার ওপর একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়।
কেআই//