ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৮ ১৪৩১

জলবায়ু পরিবর্তন আর মানবসৃষ্ট অপতৎপরতার কবলে পাহাড় (ভিডিও)

আহম্মদ বাবু

প্রকাশিত : ১২:২৪ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০২৩ শনিবার

একদিকে জলবায়ু পরিবর্তন অন্যদিকে মানবসৃষ্ট প্রকৃতি বিনাসী তৎপরতায় বাড়ছে আকস্মিক বন্যা ও পাহাড় ধসের মতো দুর্যোগ। অপরিকল্পিত উন্নয়ন, বন উজাড়, নদীর নাব্যতা সংকটে পার্বত্য অঞ্চলে বন্যা ও পাহাড় ধসের মত ঘটনা ঘটছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

পার্বত্য চট্রগ্রামের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে পাহাড় আর বনভূমি। জলবায়ু পরিবর্তনে অতিবৃষ্টির কবলে পাহাড়। গেল ৪ থেকে ৮ আগস্ট ৫ দিনে পার্বত্য চট্টগ্রামে বৃষ্টি হয়েছে ৮৫০ মিলি মিটার।  যা এই সময়ে ৩০ দিনে যে বৃষ্টিপাত হয় তার দ্বিগুন।

অতিবৃষ্টিতে দেখা দিয়েছে আকস্মিক বন্যা ও পাহাড় ধ্বসের ঘটনা। কোথাও থৈ থৈ পানি। কোথাও ধসের মাটি পড়ে সড়ক বন্ধ। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাহাড় কাটা ছাড়াও গেল একযুগে ধ্বংস করা হয়েছে ২৭ শতাংশ পাহাড়ি বন। গাছ কাটা, ফল বাগান এবং পর্যটনসহ নানানা মানবসৃষ্ট কারণে পাহাড়ের গঠনগত পরিবর্তনে বাড়ছে ধসের ঘটনা। 

ঢাবি ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালনারেবিলিটি স্টাডিজের সহযোগী অধ্যাপক ও পরিচালক 
ডক্টর দিলারা জাহিদ বলেন, “অনেক বেশি বন ধ্বংস করছি পাহাড়ী এলাকায়। নদীগুলোতে অনেক বেশি নাব্যতা কমে গেছে, চর পড়ছে। নদীর ধারণ ক্ষমতার বেশি যখন পানি আসে তখন দুই পাশ ছাপিয়ে যায়। পাহাড়ী সিটি যেমন হওয়া উচিত কখনই নগর পরিকল্পনা মেনে তা করা হয়না।”

পাহাড়ের সরু নদীতে পলি পড়ে নাব্যতা কমে যাওয়া এবং নদীর পাদদেশে বসতি স্থাপন কারণে বন্যার প্রকোপ বেড়েছে। 

বন্যা পূর্বাভাস ও সতরর্কীকরণ কেন্দ্রের সরদার উদয় রায়হান বলেন, “সমান্তরাল রাশ পেয়েছে সে কারণে মাটির পানির ধারণ ক্ষমতা কমেছে এবং সেই পানিটা পাহাড়ী ঢল আকারে দ্রুত নেমে যাচ্ছে। এছাড়াও পাহাড় কেটে ফেলা হচ্ছে যে কারণে পাহাড়ের ঢাল হ্রাস পেয়েছে। ফলে পানি দ্রুত নেমে আসছে। একই সাথে পাহাড় ধ্বসের মতো ঘটনা ঘটছে। গত ৫০-৬০ বছরে মাতামহুরী নদীতে এতো বড় মাপের বন্যা রেকর্ড করা হয়নি।”

কার্যকরী প্রতিরোধ পরিকল্পনার সঙ্গে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে সমন্বিত ব্যবস্থা নিলে পার্বত্য এলাকায় দুর্যোগ কমানো সম্ভব বলে মনে করেন বিশেজ্ঞরা।

এএইচ