ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ডেঙ্গু ও বিএনপি দুটোই মানুষের জন্য ক্ষতিকর: কাদের

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:১৪ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০২৩ শনিবার | আপডেট: ০২:১৫ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০২৩ শনিবার

মানুষের জীবন ডেঙ্গুতে নিরাপদ নয়, আর বিএনপির হাতে দেশের গণতন্ত্র নিরাপদ নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, আঞ্চলিক রাজনীতির বিষয়ে ভারত এবং আমেরিকার অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে, তাই ভারত আমেরিকাকে কিছু বললে তাদের স্বার্থেই বলেছে। এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোন হস্তক্ষেপ নয়। 

শনিবার (১৯ আগস্ট) ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা উপকমিটির ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক কর্মসূচিতে এসব কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ডেঙ্গু এবং বিএনপি দুটোই মানুষের জন্য ক্ষতিকর। ডেঙ্গুর মতো বিএনপিকেও প্রতিরোধ করার আহ্বান জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ক্ষমতায় আসতে বিএনপি তাকিয়ে আছে আমেরিকার দিকে। কখন নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতি দেবে সে আশায়। তাকাতে তাকাতে চোখের পাওয়ার কমে গেছে। এখন আর কিছু দেখতে পায় না। আর আওয়ামী লীগ তাকিয়ে আছে দেশের জনগণের দিকে।

বিএনপির পলাতক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে কোনো আন্দোলনে সফল হবে না বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। পঁচাত্তরে আমরা ক্ষমতা হারিয়েছি। তখন তো ভারত আমাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেয়নি! ২০০১ সালে আমরা ক্ষমতা থেকে চলে গেছি। জনগণ চায়নি, আমরা সরে গেছি। কিন্তু নির্বাচনের ব্যাপারটা ভারত বা কোনো বিদেশি শক্তি কাউকে ক্ষমতায় বসাবে, কাউকে ক্ষমতাচ্যুত করবে- এ নিয়ে আমার মনে হয় গণতন্ত্রে যারা বিশ্বাস করে তাদের এ মন্তব্য করা অশোভন।

তিনি বলেন, মানুষের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। বাঁচতে হলে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। মানুষকে বাঁচানোর রাজনীতি সবার আগে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রাণ গোপাল দত্তের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডাক্তার জামাল উদ্দিন প্রমুখ।

এএইচ