অপরিকল্পিত সেতু নির্মাণ, তিন জেলার মানুষের দুর্ভোগ (ভিডিও)
প্রতিনিধিদের খবর
প্রকাশিত : ০৩:০৬ পিএম, ১৯ আগস্ট ২০২৩ শনিবার
ঢাকা বিভাগের আরও তিন জেলায় অপরিকল্পিতভাবে সেতু নির্মাণ হয়েছে। দুর্ভোগতো কমেইনি বরং বেড়েছে। কোথাও উদ্বোধনের আগেই হেলে পড়েছে সেতু। কোথাও আবার সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুগুলো অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে।
টাঙ্গাইলের বাসাইলে ফুলকি-ফুলবাড়ি সড়কের নিরাইলে উদ্বোধনের আগেই হেলে পড়ে সেতুটি।
৫৪ লাখ টাকার ৬০ ফুট দীর্ঘ সেতুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নিজ খরচে আবার নির্মাণ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় সংশ্লিষ্ট বিভাগ। এরপর সেতুটি বিভিন্ন অংশে ভাঙা শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এক পর্যায়ে বিল তুলে নিয়ে লাপাত্তা।
স্থানীয়রা জানান, গাড়ি-ঘোড়া নিয়ে তো যেতেই পারিনা, বর্ষাকালে হেঁটে যাওয়াটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই এলাকার ছাত্রছাত্রী এখান দিয়ে যাতায়াত করে থাকে। ৫ বছর ধরে ব্রিজটি এই অবস্থায় রয়েছে কিন্তু সেতুটি আমাদের অনেক প্রয়োজন।
যাচাই-বাছাই শেষে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিন হায়দার বলেন, “আপনার মাধ্যমে জানলাম যে ৫ বছর আগে বাসাইলে এই ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল কিন্তু সেটি কার্যকর হয়নি বিধায় আবার ভাঙা হয়। এটি যাছাই-বাছাই করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় দিঘুলিয়া ইউনিয়নের আঙগুটিয়া এলাকায় ২৫ বছর আগে নির্মিত ব্রিজের দুই পাশে সংযোগ সড়ক নেই। দীর্ঘদিন ব্রিজটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে।
এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শান্তা রহমান বলেন, “জেলা সমন্বয় সভার মাধ্যমে অনুমতি নেয়ার টেষ্টা করা হবে যে এটার উপযোগীতা না থাকলে ভেঙে জনসাধারণের চলাচলের ভালো ব্যবস্থা করা দেয়া যায় কিনা।”
মাদারীপুরের কালকিনিতে প্রায় ৪ কোটি টাকার এই সেতু থেকে নামতে হয় কাঠের মাচা বেয়ে। এ বছর জুনের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেতুটির তিনটি স্প্যানসহ মূল কাজ গত বছরই শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় এভাবে অলস দাঁড়িয়ে আছে।
জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে সেতুগুলোকে কার্যকর করার দাবি ভুক্তভোগীদের।
এএইচ