আবেদন খারিজ, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা চলবে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:১১ এএম, ২০ আগস্ট ২০২৩ রবিবার
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ প্রতিষ্ঠানটির চার পরিচালকের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলার কার্যক্রম চলতে কোনো বাধা নেই। এ সংক্রান্ত মামলা বাতিলের রুল খারিজের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
রোববার (২০ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির আপিল বিভাগ এই আদেশ দেন।
মামলার অন্য তিন আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) শ্রম আদালতে অভিযোগ গঠন প্রক্রিয়া বৈধ বলে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন সে বিষয়ে শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চ আদেশের জন্য রোববার দিন ধার্য করেন।
গত ১৩ আগস্ট শ্রম আদালতের মামলা বাতিল চেয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের করা আপিল শুনানির জন্য ১৭ আগস্ট দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত।
এর আগে গত ৬ জুন শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদেশ দেন ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা ইসলাম। এরপর ২১ জুন অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন ড. ইউনূস।
২৩ জুলাই মামলায় অভিযোগ গঠন কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। কিন্তু গত ৮ আগস্ট জারি করা রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। এরপর গত ১০ আগস্ট চেম্বার আদালতে মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন ড. ইউনূস।
শ্রম আইনের ৪-এর (৭) এবং (৮) ধারায় শ্রমিকদের স্থায়ী করা হয়নি এবং ১১৭ জনকে আর্নলিভ দেওয়া হয়নি। আর ২৩৪ ধারা অনুযায়ী তাদের মুনাফার ৫ শতাংশ দেওয়া হয়নি- এসব কারণে গঠন করা হয় অভিযোগ। শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তর।
ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান।
এএইচ