ঢাকা, শুক্রবার   ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪,   আশ্বিন ৪ ১৪৩১

ওজন স্লিপ জালিয়াতি: বেনাপোল বন্দরের কর্মকর্তাসহ ৬ জনকে বদলি

বেনাপোল প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:৪৯ পিএম, ২১ আগস্ট ২০২৩ সোমবার | আপডেট: ১২:৫০ পিএম, ২১ আগস্ট ২০২৩ সোমবার

বেনাপোল স্থলবন্দরের ওয়েব্রিজের ওজন স্লিপ নিয়ে জালিয়াতির ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের গঠিত ৫ সদস্যর তদন্ত টিমের সুপারিশের ভিত্তিতে বেনাপোল বন্দরের ৫ কর্মকর্তাসহ ৬ জনকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে। 

একই সাথে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার সাথে জড়িত ৮ সিএন্ডএফ এজেন্টকে শনাক্ত করেছে। তবে তিনজনের লাইসেন্স স্থগিত করেছেন তারা। এ ঘটনাটি নিয়ে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কোন তথ্য দিতে চাইছেনা। তারা বিষয়টি গোপন করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ব্যবসায়ীরা।

বদলিকৃত বেনাপোল বন্দরের কর্মকর্তারা হলেন উপপরিচালক (ট্রাফিক) মনিরুল ইসলাম, উপপরিচালক (প্রশাসন) রেজাউল করিম, সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) রাশেদুল নজিব নাজির, সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) সাইফুর রহমান ভুঁইয়া, ট্রাফিক পরিদর্শক রোকনুজ্জামান আবেদীন ও অফিস সহায়ক রবিউল ইসলাম।

গত ১৭ আগস্ট বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপসচিব আতিকুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাদেরকে বিভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়েছে। এরমধ্যে দু’জন উপপরিচালককে প্রধান কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

জালিয়াতির ঘটনায় যে তিনজন সিএন্ডএফ এজেন্টের লাইসেন্স স্থগিত করেছেন তারা হলেন, রিয়াদ এজেন্সি, সোনালী সিএন্ডএফ এজেন্ট ও রহমত ইন্টারন্যাশনাল। বিষয়টি কাস্টমস সূত্র নিশ্চিত করেছেন। তবে বাকিদের ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

বেনাপোল কাষ্টমস সূত্রে জানা গেছে, ভারত থেকে আমদানি হয়ে আসা পণ্য চালানগুলো বেনাপোল বন্দরে প্রবেশের পূর্বে বন্দর স্কেলে ট্রাকসহ পণ্যের গ্রোস ওজন নিশ্চিত করা হয়। পণ্য আনলোড হওয়ার পরে আবার খালি ট্রাক ওজন করে পণ্যের নিট ওজন নিশ্চিত করে ওজন স্লিপ দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে গত কয়েক মাসে বেনাপোলের কয়েকটি সিএন্ডএফ এজেন্ট বন্দরের দেয়া ওজন স্লিপের ওজন কমিয়ে ডুপ্লিকেট ওজন স্লিপ সংযুক্ত করে পণ্য খালাশ করা হয়। 

ওজন স্লিপে ওজন কমানোর কারণে সরকার বিপুল টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়। 

এ ব্যাপারে বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) আব্দুল জলিল জানান, ৫ জন কর্মকর্তা ও একজন অফিস সহায়ককে প্রধান কার্যালয় বদলি করা হয়েছে। এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। বদলিকৃত কর্মকর্তারা ওজন স্কেলের জালিয়াতির সাথে জড়িত কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। 

পণ্য পরীক্ষণের সময় তো কাস্টমস অফিসাররা ডিজিটাল স্কেলে ওজন করে ওজন নিশ্চিত করে থাকেন বলে তিনি জানান। 

এএইচ