ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

গ্রিসের সহায়তার আশ্বাস পেলেন জেলেনস্কি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০১:২৮ পিএম, ২২ আগস্ট ২০২৩ মঙ্গলবার

এথেন্স সফরে গ্রিস ও আঞ্চলিক শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট যথেষ্ট সমর্থন ও সহায়তার আশ্বাস পেলেন৷ এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চালাতে ইউক্রেনীয় পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেবে গ্রিস৷

একের পর এক ইউরোপীয় দেশ সফর করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি নিজের দেশের জন্য আরো সমর্থন এবং সামরিক ও অন্যান্য সহায়তার অঙ্গীকার পাচ্ছেন৷

অ্যামেরিকার ছাড়পত্র পাওয়ার পর নেদারল্যান্ডস ও ডেনমার্ক ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেবার ঘোষণা করেছে৷ এবার গ্রিস ইউক্রেনের সামরিক পাইলটদের সেই যুদ্ধবিমান চালানোর প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিয়েছে৷ জেলেনস্কি গ্রিসের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সেই প্রস্তাব গ্রহণও করেছেন৷

এথেন্সে গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী কিরিয়াকোস মিৎসোতাকিসের সঙ্গে আলোচনায় ইউক্রেনের ওডেসা শহর পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে গ্রিস সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে৷ ঐতিহাসিক কারণে সেখানে গ্রিক বংশোদ্ভূত অনেক ইউক্রেনীয় মানুষ বাস করেন বলে এথেন্স সেই কাজ করতে আগ্রহী৷ মিৎসোতাকিস ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের তীব্র নিন্দা করে আন্তর্জাতিক বিচার কাঠামোর আওতায় শাস্তির পক্ষে সওয়াল করেন৷ রাশিয়ার সঙ্গে বিশেষ  ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বন্ধন সত্ত্বেও তাঁর নেতৃত্বে গ্রিসের সরকার যুদ্ধের তীব্র নিন্দা করে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে৷ গত বছর গ্রিস বেশ কয়েকজন রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছিল৷

ন্যাটোর সদস্য দেশ গ্রিসের বিমানবাহিনীতে মূলত এফ-১৬ বিমানই রয়েছে৷ সে দেশের পাইলটরা এমন বিমান চালাতে অত্যন্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ৷ নেদারল্যান্ডস ও ডেনমার্ক এফ-১৬ বিমান দিলেও ইউক্রেনের পাইলট ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীদের দ্রুত প্রশিক্ষণ না দিলে সেই বিমান কাজে লাগাতে বিলম্ব ঘটবে৷ সে কারণে গ্রিসের প্রস্তাব বাড়তি গুরুত্ব পাচ্ছে৷ চলতি মাসেই ১১টি দেশের এক জোট ইউক্রেনীয় পাইলটদের প্রশিক্ষণ শুরু করছে৷ ২০২৪ সালের শুরুতেই তাঁরা এফ-১৬ বিমান চালাতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে৷

শুধু গ্রিস নয়, জেলেনস্কি এথেন্সে গিয়ে বলকান ও পূর্ব ইউরোপের দেশের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও আলোচনা করছেন৷ সার্বিয়া, কসোভো, বসনিয়া-হ্যারৎসোগোভিনা, মন্টেনেগ্রো, ক্রোয়েশিয়া, রুমানিয়া, বুলগেরিয়া ও মলদোভার শীর্ষ নেতারা ছাড়াও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডেয়ার লাইয়েন এবং ইউরোপীয় সরকার পরিষদের প্রধান শার্ল মিশেলকেও সেই ‘ইনফর্মাল' মিটিংয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল৷ মূলত ইইউ-তে যোগদানের বিষয়টি প্রাধান্য পেলেও জেলেনস্কির উপস্থিতির কারণে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থনও বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে৷

শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনার আগে জেলেনস্কি নিজের টেলিগ্রাম চ্যানেলে অ্যাজেন্ডা তুলে ধরেন৷ তিনি লেখেন, ‘‘আমাদের সাধারণ ইউরোপীয় বাসস্থানে মানুষের জীবন ও স্বাধীনতা রক্ষাই আসল লক্ষ্য৷ প্রত্যেকটি দিন আমরা আমাদের রাষ্ট্র, আমাদের সৈন্য ও সহযোগীদের সঙ্গে সহযোগিতা জোরজার করছি৷''

সূত্র: ডয়েচে ভেলে

এসবি/