বঙ্গবন্ধু টানেলে চলছে উদ্বোধনের প্রস্তুতি (ভিডিও)
হাসান ফেরদৌস, চট্টগ্রাম থেকে
প্রকাশিত : ১২:৫৯ পিএম, ২৩ আগস্ট ২০২৩ বুধবার
অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে খুলে দেয়া হচ্ছে বহুল প্রতীক্ষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। এরমধ্যে প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। চলছে উদ্বোধনের প্রস্তুতি। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত টানেলটি চট্টগ্রামে শিল্পায়ন ও পর্যটনের বিকাশ এবং দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
চট্টগ্রাম মহানগরীর সম্প্রসারণ, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সমুদ্রবন্দর ঘিরে ব্যাপক শিল্পায়নের লক্ষ্যে কর্ণফুলী তলদেশে টানেল নির্মাণের উদ্যোগ নেয় বর্তমান সরকার। ২০১৬ সালে প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শিজিন পিং। প্রকল্পটির ব্যয় হচ্ছে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা। যার অর্ধেকেরও বেশি ঋণ হিসেবে দিচ্ছে চীনের এক্সিম ব্যাংক।
দুই টিউববিশিষ্ট চার লেনের ৩ দশমিক তিন-দুই মিটার দৈঘ্য ট্যানেলের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। এখন চলছে উদ্বোধনের প্রস্তুতি। সব ঠিক থাকলে ২৮ অক্টোবর খুলে দেয়া হতে পারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশিদ বলেন, “সব মিলিয়ে ৯৭ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তবে টানেলের অগ্রগতি ৯৯.৯৫ ভাগ।”
ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরা আশা করছেন, বঙ্গবন্ধু টানেল চালু হলে দেশের সার্বিক অর্থনীতি আরও গতিশীল হবে। শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নই নয়; বিনিয়োগ, শিল্পায়ন, নগরায়ন ও পর্যটনেও খুলবে নতুন দুয়ার। চীনের সাংহাইয়ের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ মডেলে রূপ নেবে চট্টগ্রাম নগরী।
চট্টগ্রাম শিল্প উদ্যোক্তা নাসির উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “টানেল চালু হলে টাউনের বিস্তৃত ঘটবে। ওইসব এলাকার জীবনমানের উন্নতি হবে।”
অর্থনীতিবিদ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক ড. সেলিম উদ্দিন বলেন, “এরকম একটা টানেল দুটো অঞ্চলকে এক করে ফেলেছে। সমস্ত শিল্পায়ন বিশেষ করে চাইনিজ-কোরিয়ান ইপিজেড এবং বাংলাদেশের ব্যক্তিগত বিনিয়োগ ইতিমধ্যে আকৃষ্ট করেছে।”
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল চালু হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের সড়ক যোগাযোগে দূরত্ব কমবে প্রায় ৪০ কিলোমিটার। ভবিষ্যতে এশিয়ান হাইওয়ের সাথেও সংযোগ স্থাপন করবে বঙ্গবন্ধু টানেল।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৮ অক্টোবর উদ্বোধন করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। এর এই টানেলটি উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ প্রবেশ করবে টানেলের যুগে। টানেলটি বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং পর্যটনের শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এএইচ