সংশোধিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন পাস হলে এসডিজি অর্জনে সহায়ক হবে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:৪০ পিএম, ২৬ আগস্ট ২০২৩ শনিবার
দেশের মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শক্তিশালী ও মেধাবী তরুণ সমাজ গঠনে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনীটি দ্রুত পাসের তাগিদ দিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সংগঠন এভিয়েশন এন্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম বাংলাদেশ- এটিজেএফবি নেতৃবৃন্দ।
শনিবার সকালে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন আয়োজিত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন বিষয়ে এটিজেএফবি’র সাথে এক কর্মশালায় তারা আরো বলেন, আইনের সংশোধনী পাস হলে মৃত্যু হার কমবে, এসডিজি অর্জিত হবে, তামাকমুক্ত বাংলাদেশ তরান্বিত হবে।
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন ক্যাম্পেইন ফর টোবাকো ফ্রি কিড্স বাংলাদেশের লিড পলসি এ্যাডভাইজার মোস্তাফিজুর রহমান, বাসস-এর অনলাইন ইনচার্জ ও এটিজেএফবি সভাপতি তানজিম আনোয়ার এবং এটিজেএফবি সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি জিয়াউল হক সবুজ।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পের সমন্বয়কারী মো. শরিফুল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন বর্তমান ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫’ আইনে পাবলিক প্লেস, রেস্তোরাঁ ও গণপরিবহনে স্মোকিং জোন থাকার কারণে পরোক্ষ ধুমপানজনিত ক্ষতির শিকার হচ্ছেন অধূমপায়ী নাগরিকগণ। এতে করে ৮৫ভাগ হারে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে স্মোকিং জোনকে ব্যবহার করে ৭৩ ভাগ রেস্তোরাঁতে তামাক কোম্পানি বিজ্ঞাপন সামগ্রী প্রদর্শন করছে।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের অধিকতর সংশোধনীর জন্য একটি খসড়া প্রণয়ন করেছে উল্লেখ করে বলা হয়, এই খসড়াটি পাস হলে রেস্তোরাঁসহ সকল পাবলিক প্লেসে স্মোকিং জোন বাতিল, বিক্রয়কেন্দ্রে তামাকজাত দ্রব্যের প্রদর্শনী, খুচরা বিক্রি, ই-সিগারেট ও তামাক কোম্পানির সিএসআর নিষিদ্ধসহ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের বেশ কিছু দুর্বল দিক দূর হবে ও আইনটি বিশ্বমানে উন্নীত হবে।
আইনের সংশোধনীটা বর্তমানে কেবিনেট ডিভিশনে রয়েছে। এটি পাসের প্রক্রিয়া তরান্বিত করতে গণমাধ্যম কর্মীরা তাদের লেখনীর মাধ্যমে নীতিনির্ধারকদের বিষয়টি সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে আহ্বান জানান মো. শরিফুল ইসলাম।
ইকবাল মাসুদ বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের অধিকতর সংশোধনীর জন্য যে খসড়াটি প্রণয়ন করেছে, সেটি পাশ হলে দেশে আইনটি এফসিটিসি’র সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও শক্তিশালী হবে। ফলে ২০৪০ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠন তরান্বিত হবে।
কর্মশালায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি, নিয়াজ মোর্শেদ, ঢাকা মেইলের সিনিয়র রির্পোটার ইমরুল কায়েস, ভোরের ডাকের ইমরুল কাওসার, বিটিভির খালিদ আহসান ও সাইফুল্লাহ সুমন, এনটিভির এএসএম আতিক, জিটিভির স্টাফ রিপোর্টার বায়জিদ হোসেন, যায়যায়দিনের সিনিয়র সাংবাদিক আলতাব হোসেন, ডেইলিস্টারের সিনিয়র রিপোর্টার রাসেদুল, এসিয়ান টিভির চিফ রিপোর্টার বাতেন বিপ্লব।
সূত্র: বাসস
এসবি/