ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ২১ ১৪৩১

বাংলাবান্ধা বন্দরে পাঁচ বছর ধরে পচছে আমদানি করা গম (ভিডিও)

মাসুমা লিসা, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:০৩ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০২৩ মঙ্গলবার

পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের দুটি গুদামে পাঁচ বছর ধরে পড়ে আছে ভারত থেকে আমদানি করা ১৯০ মেট্রিক টন গম। গমগুলো পঁচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। শুধু তাই নয় চার বছর ধরে বন্দরের ইয়ার্ডে খোলা আকাশের নিচে পড়ে আছে রেলওয়ে স্লিপার। এরফলে বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। কাষ্টমস কর্তৃপক্ষ বার বারই গম ও রেলের স্লিপার সরানোর কথা বললেও কার্যত কোন পদক্ষেপই নেয়নি । 

২০১৮ সালে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে মেসার্স ইমতিয়াজ ট্রেডার্স ভারত থেকে ১৯০ মেট্রিক টন গম আমদানি করে। পরে স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র গম পরীক্ষা করে। গমগুলো নিম্নমানের এবং  জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক জীবাণু রয়েছে বলে জানায় তারা। 

ছাড়পত্র না মেলায় সেগুলো জব্দ করে বন্দরের ১ ও ২ নম্বর গুদামে রাখে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। তখন থেকেই দুটি গুদামে এভাবেই পড়ে আছে গমগুলো। 

পরের বছর ভারত থেকে কয়েক দফায় ১৪টি গাড়িতে ১ হাজার ৩০০ পিচ রেলওয়ে স্লিপার আমদানি করে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান। তবে স্লিপারগুলো নিম্নমানের হওয়ায় আটকে দেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে এই ইয়ার্ডেই পড়ে আছে স্লিপারগুলো। 

বন্দর সংশ্লিষ্ট ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, এসব পচাঁ গম ও রেলওয়ে স্লিপারের কারণে আমদানি রপ্তানি কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। 

”বৃষ্টির পানি আসলে আরও খারাপ অবস্খা হয়, এগুলা অপসরণ না করলে সমস্যা।” বলেন বন্দরের এক কর্মচারী।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর লিমিটেডের ব্যবস্থাপক ও ইনচার্জ জানান, পঁচা গম ও রেলের স্লিপার সরানোর জন্য কাষ্টমসকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর লিমিটেডের ব্যবস্থাপক ও ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ”গম ও স্লিপার অপসারণ করা হলে আরও গাড়ির জায়গা হবে, প্রয়োজন হলে আমরা অবশ্যই অপসারণ করব।”

তবে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর কাস্টমসের সহকারি কমিশনার (এসি) জে. এম. আলী আহসান বন্দরের গুদামে জব্দ থাকা গম এবং রেলওয়ে স্লিপারগুলো দ্রুত সরানোর কথা জানালেও ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি।
 

 

এসবি/