মূল্যস্ফীতি ভারতের সঙ্গে না মেলানোর পরামর্শ বাণিজ্যমন্ত্রীর
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০১:৫৮ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০২৩ বুধবার | আপডেট: ০২:২১ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০২৩ বুধবার

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে কিছু ব্যবসায়ী এর সুযোগে পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তবে আমাদের প্রতিনিয়ত চেষ্টা চলছে। গ্লোবাল এই দুরবস্থার মধ্যেও যেন আমরা ঠিক থাকতে পারি।
বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে আমেরিকান চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশ আয়োজিত সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের কাছে এই মন্তব্য করেন তিনি।
সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য নিয়েও কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা হয়নি।
বিশ্ববাজারের নেতিবাচক প্রভাব দেশেও পড়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাজারে সংকট তৈরি হলে কিছু ব্যবসায়ী তার সুযোগ নেয়। বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা চলছে। তবে একেবারে বাজার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয় বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
মূল্যস্ফীতি নিয়ে ভারতের সাথে বাংলাদেশকে না মেলানোর পরামর্শ দেন তিনি। টিপু মুনশি বলেন, ভারতের সঙ্গে সব বিষয়ে তুলনা করা সম্ভব নয়। আজ ভারতে চিনির দাম কম, কারণ তাদের উৎপাদন যেটা হয় চাহিদা মেটানোর পরও রপ্তানি করে। আর আমাদের ৯৯.৯ শতাংশ বাইরে থেকে আনতে হয়। সব জিনিস একরকম হবে তা কিন্তু নয়। পেঁয়াজের দাম বেড়ে গেল, তখন ভারতে রেশনিং চালু করেছিল। যখন কাঁচা মরিচের দাম বাড়ল তখন ৩৫০ রুপিতে বিক্রি হয়েছে। এই মুহূর্তে পেঁয়াজের ওপর ট্যাক্স বাড়িয়ে দিয়েছে। তারা তাদের অর্থনীতির ওপর নির্ভর করে কাজ করে।
সার্বিক মূল্যস্ফীতি নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গ্লোবাল অবস্থাটা দেখেন, ইংল্যান্ডের দোকানেও যখন তিনটার বেশি টমেটো কেনা যাবে না, সে বিষয়ে রেস্ট্রিকশন দিয়ে দেয়। জার্মানিও দোকানগুলোতে তেলের বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়। আমাদের এখানেও নিশ্চয়ই প্রভাব পড়েছে। মুহূর্তের মধ্যে সমাধান হবে তেমন তো নয়, তবে আমাদের প্রতিনিয়ত চেষ্টা চলছে। গ্লোবাল এই দুরবস্থার মধ্যেও যেন আমরা ঠিক থাকতে পারি।
বাংলাদেশের গ্যাস আহরণসহ, হেলথকেয়ার ও গুরুত্বপূর্ণ খাতে বিনিয়োগে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহবান জানান টিপু মুনশি।
এএইচ