প্রজ্ঞাবান হওয়ার বাস্তব প্রতিফলন কী?
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:৩০ এএম, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ শনিবার
প্রজ্ঞা মানে হলো জ্ঞান + অন্তর্দৃষ্টি + দূরদৃষ্টি। প্রচলিত অর্থে আমরা তাকে জ্ঞানী বলি যার অনেক তথ্য বা ইনফরমেশন আছে। এই তথ্য বা ইনফরমেশনের সাথে যখন অন্তর্দৃষ্টি যোগ হয়, তখনই তিনি প্রাজ্ঞ বা প্রজ্ঞাবান। একটা উদাহরণ দিয়ে আমরা এটাকে বুঝতে পারি।
একজন এসে একটা তথ্য দিল যে, অমুকে ব্যবসায় মার খেয়েছে। অর্থাৎ এত বেশি লোকসান করেছে যে, ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে বাধ্য হয়েছে। এ তথ্যটি পাওয়ার পর আপনি যদি তা বিশ্লেষণ করতে পারেন যে, কেন এ তথ্য আপনাকে দেয়া হলো? যে দিল তার উদ্দেশ্য কী—তাহলেই আপনি অন্তর্দৃষ্টির প্রয়োগ করতে পারলেন। যেমন, প্রথমত তথ্যটি সত্যও হতে পারে। আবার মিথ্যাও হতে পারে। যদি সত্য হয় তাহলে এ তথ্য সে আপনাকে কেন দিল?
হতে পারে, যে দিয়েছে সে কথা গোপন রাখতে পারে না। যা সে জানে তার সবকিছুই অন্যদের জানাতে চায়।
আবার হতে পারে সে এতে খুব দুঃখ পেয়েছে এবং তার দুঃখটাকেই সে আপনার সাথে শেয়ার করতে চাচ্ছে।
তৃতীয়ত হতে পারে যে, সে এতে খুব আনন্দিত। সেজন্যে আপনিসহ সবার কাছে বলে বেড়াচ্ছে।
আবার আপনার সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার কথা চিন্তা করেও তথ্য দিতে পারে। যেমন যার সম্পর্কে এ তথ্য, আপনি হয়তো তাকে অপছন্দ করেন। অতএব তার বিপদের খবর আপনাকে আনন্দিত করবে—এটা ভেবে সে এ তথ্য আপনাকে দিয়েছে এবং তার উদ্দেশ্য হলো—এর মাধ্যমে আপনার কাছ থেকে কোনো আনুকূল্য বা সুবিধা নেয়া। আবার আপনাকে কষ্ট দেয়ার জন্যেও দিতে পারে।
অর্থাৎ এই বিশ্লেষণ, মোটিভ বুঝতে পারাই হলো অন্তর্দৃষ্টি। আর এই অন্তর্দৃষ্টির আরেক দিক হলো—এ তথ্য বা ঘটনাটি কেন ঘটলো তা বুঝতে পারা। আর দূরদৃষ্টি হলো ঘটনার পরবর্তী প্রক্রিয়া বা প্রভাব কী হবে তা বুঝতে পারা। পাঁচ বছর, ১০ বছর বা ৫০ বছর পর আপনার জীবনে এ ঘটনার প্রভাব কী হবে তা যখন বুঝতে পারবেন, আপনি বুঝবেন আপনি প্রজ্ঞাবান।
এমএম//