ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

গৃহকর্মী কাজের জমানো টাকায় প্রধানমন্ত্রীকে রূপার নৌকা দিতে চান ফরিদা

জামাল হোসেন, বেনাপোল থেকে

প্রকাশিত : ১২:১৭ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সোমবার | আপডেট: ১২:১৮ পিএম, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ সোমবার

দীর্ঘদিনের সুপ্ত বাসনা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে জমানো টাকায় তৈরি রূপার নৌকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার  দিতে চান যশোরের শার্শার ফরিদা পারভীন। ২০ বছর ধরে অন্যের বাড়িতে ঝিঁয়ের কাজ ও কাঁথা সেলাই করে পাওয়া পারিশ্রমিক মাটির ব্যাংকে জমা করেন তিনি।

বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভালোবেশে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে সন্তষ্ট হয়ে একটি রূপার নৌকা বানিয়েছেন যশোরের শার্শা উপজেলার শিকারপুর গ্রামের ফরিদা পারভীন (৩৮)। সেই নৌকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার হিসেবে দিতে চান। 

ফরিদার নৌকার বানানোর কথা এখন সাধারণ মানুষের মুখে মুখে। তার বাড়িতে নৌকা দেখতে আসছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। ফরিদার কাজে অভিভূত দর্শনার্থীসহ স্থানীয়রা।

যশোরের শার্শা উপজেলা[র লক্ষনপুর ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের বাসিন্দা ফরিদা পারভীন। নকশীকাঁথা শেলাইয়ের কাজ করেন ফরিদা। বৃদ্ধা মা রাশিদা খাতুন ও এক মেয়ে আলেয়া খাতুনকে নিয়ে ফরিদার সংসার। স্বামী আনিছুর রহমান দ্বিতীয় বিয়ে করে থাকছেন অন্য জায়গায়।

শার্শার উত্তর সীমান্ত নারিকেল বাড়িয়া ও শিকারপুর গ্রামের সীমানা নির্ধারণী বেত্রবতী নদীর পাড়ে শিকারপুর অংশে খাস জমিতে একটি ঘর বেঁধে বসবাস করছেন ফরিদা। নিজের সহায় সম্পদ বলতে এতটুকুই। তার কর্মকাণ্ডে খুশি হয়ে প্রশংসা করছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন ও নাভারন মহিলা কলেজের প্রভাষক আসাদুজামান আসাদ। ফরিদার বাড়িতে এ নৌকা দেখতে যান তারা।

ফরিদা পারভিন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুরে ভালোবাসি, প্রধানমন্ত্রীরে ভালোবাসি। আমি বঙ্গবন্ধুকে মনেপ্রাণে ধারণ কইরা তার মেয়েরে একটা নৌকা উপহার দেবো। এটার আমার জীবনের শেষ ইচ্ছা। প্রধানমন্ত্রী আমার কাম দেখে খুশি হইব, তাতেই আমি খুশি। যে দিন দিতে পারব নৌকাটি সেদিন স্বার্থক হবে আমার ভালবাসা।’

শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক গোলাম মোস্তফা বলেন, ২০ বছর ধরে জমানো টাকা দিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক একটা রূপার নৌকা বানান ফরিদা। স্থানীয় এমপি ও আওয়ামী লীগের নেতাদের সহযোগিতায় গণভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তিনি এই উপহারটি দিতে চান। বিষয়টির সহযোগিতার জন্য ঊর্ধ্বতন মহলে যোগাযোগ বা প্রচেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

ফরিদার মনের আশা পূর্ণ হোক দৃষ্টিগোচর হোক প্রধানমন্ত্রীর এমনটাই আশা এলাকাবাসির।

এএইচ