এ মাসেই চালু হচ্ছে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ
মীর মো. শাহীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
প্রকাশিত : ১২:০২ পিএম, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার
আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথের পুরো অংশেই সফলভাবে চালানো হয়েছে গ্যাংকার। আখাউড়ার গঙ্গাসাগর স্টেশন থেকে ভারত সীমান্তে যায় গ্যাংকারটি। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিগগিরই এই ট্র্যাকে হালকা ওজনের ইঞ্জিনের ট্রায়াল-রান হবে। আর এ মাসেই ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী রেলপথটি উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, রেলপথটির কারণে বাণিজ্য বাড়বে।
পাঁচ বছরের কর্মযজ্ঞ শেষে উদ্বোধনের অপেক্ষায় আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ। চলছে প্রস্তুতি। ইতোমধ্যেই রেলপথের পুরো অংশেই সফলভাবে চালানো হয়েছে গ্যাংকার। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার গঙ্গাসাগর স্টেশন থেকে শুরু হয়ে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর গিয়ে মিশেছে এই রেলপথ।
১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথের বাংলাদেশ অংশে রয়েছে ৬ দশমিক সাত-আট কিলোমিটার। বাংলাদেশ অংশে থাকা রেলপথের নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ২৪১ কোটি টাকা। রেলপথটি আগরতলার সঙ্গে কলকাতার দূরত্ব কমাবে প্রায় ১১শ’ কিলোমিটার।
২০১৮ সালের জুলাইয়ে ভারতের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান টেক্সম্যাকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড প্রকল্পের কাজ শুরু করে। চলতি মাসেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রকল্পটি উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের চলমান পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের পরিধি এই রেলপথে আরও বাড়বে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি কাজী জাহাঙ্গীর বলেন, “পরিবহনের জন্য এই রেলপথটা আমাদের জন্য নতুনদ্বার উন্মোচিত হবে। আশা করি, এর মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারত উভয় দেশই উপকৃত হবে।”
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জানায়, রেলপথ নির্মাণ প্রায় শেষ। দ্রুতই এটি ট্রেন চলাচলের উপযোগী হবে।
প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন, শিগগিরই এ ট্র্যাকে হালকা ওজনের ইঞ্জিনের ট্রায়াল-রান হবে।
আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেল প্রকল্প পরিচালক আবু জাফর মিয়া বলেন, “এই মাসের মধ্যে আমরা ট্রায়াল-রান করতে পারবো। যাতে পরবর্তীতে ট্রেনের ট্রায়াল-রান করা যায়।”
এই রেলপথ শুধু উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশকে যুক্তই করছে না, তৈরি হচ্ছে বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগও, এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
এএইচ