জন্মাষ্টমী ব্রত পালন করবেন কীভাবে?
দীপক পাল
প্রকাশিত : ০১:২৯ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বুধবার | আপডেট: ০৩:০৩ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বুধবার
আজ পালিত হতে যাচ্ছে এই বছরের কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী। ঘরে ঘরে কৃষ্ণের বাল্য রূপ গোপালের পুজোর আয়োজন করা হচ্ছে। দেখে নিন এই পুজোর বিধি।
চন্দ্রমা ধরে হিন্দু শাস্ত্রে যে ক্যালেন্ডার হয় তাতে অষ্টমী তিথিতে জন্মছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ৷ হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য দেখা যায়, তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। উৎসবটি প্রতি বছর ইংরাজি ক্যালেন্ডারে অগাস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনও এক সময়ে পরে। এই বছর জন্মাষ্টমীর পুজো হবে ৬ এবং ৭ সেপ্টেম্বর৷
কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী বাংলার হিন্দুসমাজের আচরণীয় ব্রতগুলির অন্তর্গত একটি ব্রত। হিন্দু প্রধানত বৈষ্ণব মতাবলম্বীরা জাগতিক মঙ্গলকামনায় এবং অশুভ-অকল্যাণ দূর করতে এই ব্রত পালন করে থাকেন। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষে অষ্টমী তিথিতেই শ্রীকৃষ্ণের পুজো করা হয়ে থাকে।
আসুন সবাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের এই শুভ জন্মতিথি অর্থাৎ জন্মাষ্টমীর ব্রত পালন করি। জেনে নেওয়া যাক কী ভাবে জন্মাষ্টমী ব্রত পালন করবেন।
১। জন্মাষ্টমীর আগের দিন নিরমিষ অন্ন খেয়ে সংযম পালন করতে হবে এবং রাত ১২টার মধ্যে খেয়ে নিতে হবে। ঘুমনোর আগে অবশ্যই ভাল করে মুখ ধুয়ে ঘুমতে হবে।
২। জন্মাষ্টমীর দিন সকাল থেকে মধ্য রাত্রি পর্যন্ত উপবাস এবং জাগরণ। উপবাস থেকে হরিনাম জপ, কৃষ্ণ লীলা শ্রবণ, ভগবানকে দর্শন, ভক্ত সঙ্গে হরিনাম কীর্তন, অভিষেক দর্শন করতে হবে এবং ভগবানকে অভিষেক করে একাদশীর দিনের মতো অনুকল্প প্রসাদ সেবন করতে হবে।
৩। তবে যাঁদের উপবাস পালনে সমস্যা, অসুস্থ, তাঁরা অবশ্যই দুপুর ১২ টার পরে, কৃষ্ণের কাছে ক্ষমা চেয়ে, একটু দুধ, বা ফল খেতে পারবেন। তবে এই ব্রতে একাদশীর মতোই অন্ন-সহ পঞ্চ রবি শস্য খাবার বিধান নেই।
৪। জন্মাষ্টমীর পরের দিন সকালে স্নান করা শেষে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পারণ মন্ত্র পাঠ করে শ্রীকৃষ্ণের প্রসাদ দিয়ে পারণ করবেন।
আসুন পারণ মন্ত্র জেনে নেওয়া যাক:
পারণ আরম্ভের মন্ত্র: "সর্বায় সর্বেশ্বরায় সর্বপতয়ে সর্বসম্ভবায় গোবিন্দায় নমো নমঃ।"
পারণান্তে মন্ত্র: "ভূতায় ভূতেশ্বরায় ভূতপতয়ে ভূতসম্ভবায় গোবিন্দায় নমো নমঃ।"
এ ভাবে জন্মাষ্টমীর ব্রত পালন করতে হয়।
শাস্ত্রে আছে, কেউ যদি এক বার শ্রীকৃষ্ণের এই জন্মাষ্টমী উপবাস পালন করেন, তা হলে তাঁকে আর এই জড় জগতে জন্ম, মৃত্যু, ব্যাধি, কষ্ট ভোগ করতে হয় না ও পুনর্জন্ম গ্রহণ করতে হয় না।
দীপক পাল