ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

আফগানিস্তানের বিপক্ষে সাহসী ফুটবলে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ল বাংলাদেশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:১০ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার

ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ সিরিজের শেষটিতে চোখ জুড়ানো সাহসী ফুটবল উপহার দিয়েছে জামাল ভূঁইয়ার দল। যেখানে ১-১ ড্র নিয়ে মাথা উঁচু করেই মাঠ ছেড়েছে লাল-সবুজরা।

ম্যাচে আফগানিস্তানের হয়ে গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন জাবার শারজা। হাল না ছেড়ে বল জালে জড়িয়ে বাংলাদেশকে সমতায় ফিরিয়েছিলেন শেখ মোরসালিন। শেষ পর্যন্ত এই ব্যবধানেই শেষ হয় ম্যাচ।

রোমাঞ্চকর ম্যাচে শুরু থেকেই প্রতি মুহূর্তে ছিল উত্তেজনার পরশ। যেখানে ম্যাচের শুরুতেই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন বাংলাদেশের সহকারী কোচ হাসান আল মামুন ও আফগান কোচ আব্দুল্লাহ আল মুতাইরী।

মূলত ম্যাচের ১৮ মিনিটে একটি ফাউলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে মাঠ। এ সময় মুতাইরী নিজ ডাগ আউট ছেড়ে বাংলাদেশের ডাগ আউটের দিকে তেড়ে আসেন। পাল্টা উত্তরে বাক-বিতন্ডায় লিপ্ত হন বাংলাদেশের কোচিং স্টাফরাও।

বেশ কিছু সময় ধরে দুই পক্ষের মধ্যে হাল্কা ধস্তাধস্তি হয়। ম্যাচ পরিচালনায় নিয়োজিত নেপালি রেফারিরা অবশ্য পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় মামুন ও মুতাইরোকে লাল কার্ড দেখানো হয়।

ম্যাচের ত্রিশ মিনিটের পর থেকে কিংস অ্যারেনার আকাশ কালো হতে থাকে। পয়ত্রিশ মিনিটের পর ঝড়ো বৃষ্টি শুরু হয় স্টেডিয়ামে। গ্যালারিতে শেড না থাকায় দর্শকদের অনেকে জড়ো হয়ে গেটের নিচে দাঁড়ান।

দুই লাল কার্ড ও বৃষ্টির আধিপত্যে শেষ হয় প্রথমার্ধ। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। কর্নার থেকে ৫৩ মিনিটে হেড থেকে গোল করেন আফগানিস্তানের শারজা। গোল খেয়েই যেন জেগে ওঠে লাল-সবুজরা, শুরু করে পাল্টা আক্রমণ।

সেই ধারাবাহিকতায় ১০ মিনিটের মাথায় গোলের দেখা পায় বাংলাদেশ। বিশ্বনাথ ঘোষের ডিফেন্সচেরা পাসে ট্যাপ ইন করে গোল করেন শেখ মোরসালিন। যার মাধ্যমে সমতায় ফেরে জামাল ভূঁইয়ার দল।

এরপর বাকিটা সময় একেরপর এক আক্রমণ করে বাংলাদেশ দল। তবে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা আর পায়নি। রক্ষণ সামলে আফগানিস্তানও বার কয়েক আক্রমণে উঠেছিল। তবে তারাও স্কোর করতে পারেনি।

শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে দুই দল। তবে পিছিয়ে পড়েও বাংলাদেশ যেভাবে উজ্জীবিত ও সাহসী খেলা উপহার দিয়েছে তা দর্শকরা মনে রাখবেন অনেকদিন।

এমএম//