চবির শাটল ট্রেন থেকে পড়ে আহত ৩ শিক্ষার্থী আইসিইউতে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৬:২৭ পিএম, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ শুক্রবার
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটল ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে গুরুতর আহত ৯ শিক্ষার্থীকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, দুর্ঘটনায় দায় এড়াতে পারে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় চলন্ত শাটল থেকে পড়ে গুরুতর আহতদের চলছে চিকিৎসা। চট্টগ্রাম মেডিকেলের ২৮ নম্বর নিউরো সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে তাদের। এদের মধ্যে রয়েছে তাইজুল ইসলাম, আবু সাইদ, মোহাম্মদ সান, রাফসান ও আসলামসহ ৬ জন। ওয়ার্ড বেড না থাকায় মেঝেতে দেয়া হচ্ছে চিকিৎসা। এ ঘটনায় ক্ষোভ জানায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আইসিইউতে নেয়া হয়। তারা হলেন, আমজাদ হোসেন সোহাগ, খলিলুর রহমান ও অংসইনু মারমা। এ ছাড়া বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরও বেশ কয়েকজন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, দুর্ঘটনার দায় এড়াতে পারে না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
লোক প্রশাসন বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নুরুজ্জামান বলেন, ‘শাটল ট্রেনের ভেতরে জায়গা না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ছাদে যাতায়াত করেন। কয়েকদিন আগেই চৌধুরীহাট এলাকার একটি গাছের ঢাল কিছুটা কাত হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলেও ছাদে থাকা তিন শিক্ষার্থী আহত হন। বারবার এসব দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এসবের দায় এড়াতে পারে না।’
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়ার পথে চৌধুরী হাটে গাছের সঙ্গে ধাক্কায় শাটল ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে আহত হয় ১৫ জনের বেশি। পরে ক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ করে। ভাঙচুর করে পুলিশ বক্স, ভিসির বাসভবন ও যানবাহন।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাত ১২টায় চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে যান চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার। তিনি আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেন। চিকিৎসায় যেন কোনো ত্রুটি না হয়, এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন।
কেআই//