বাংলাদেশে শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে ইউনিসেফ ও সুইডেনের অংশীদারিত্ব
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:০০ পিএম, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ শনিবার
বাংলাদেশের শিশুদের জীবনমান উন্নয়নের জন্য ইউনিসেফের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সুইডেন সরকার ১৫ কোটি সুইডিশ ক্রোনার সহায়তা দিচ্ছে। স্বাস্থ্য, পুষ্টি, ওয়াশ ও শিশু সুরক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে বাংলাদেশে ইউনিসেফের কর্মসূচিকে সহায়তা করার জন্য এই তহবিল ব্যবহার করা হবে। বাংলাদেশ যদিও শিশুদের চাহিদা পূরণ ও অধিকার আদায়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে, তবে এখনও অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, "আমি আনন্দিত যে সুইডেন সরকারের এই উল্লেখযোগ্য অবদান ও বহুবছর মেয়াদি তহবিল ইউনিসেফ বাংলাদেশকে প্রয়োজনীয় সামগ্রী ও সেবা যথাযথ স্থানে পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে, যেখানে এগুলোর প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি।"
এই সহায়তার মাধ্যমে ইউনিসেফ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা শক্তিশালীকরণ, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন সেবা প্রদান এবং সহিংসতা, নির্যাতন ও অবহেলা থেকে নারী ও শিশুদের রক্ষাসহ চলমান কর্মসূচিসমূহ অব্যাহত রাখবে।
সুইডেন সরকার শিশুদের অধিকার নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক। বাংলাদেশে ইউনিসেফের সঙ্গে তাদের অংশীদারিত্ব একটি প্রকল্প-কেন্দ্রিক সহযোগিতার মাধ্যমে শুরু হয়ে শিশুদের, বিশেষ করে সবচেয়ে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের, অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে কৌশলগত অংশীদারিত্বে রূপান্তরিত হয়েছে।
এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর শিশুদের চাহিদা পূরণ ও অধিকার আদায়ে সহায়তা করার জন্য টেকসই উদ্যোগগুলো নিশ্চিত করতে সুইডেন ইউনিসেফ ও বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ভন লিন্ডে বলেন, “শিশুরা আমাদের সবার ভবিষ্যৎ। সুইডেন দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ এবং স্বাস্থ্যকর পরিবেশের জন্য বিনিয়োগ করা একটি সমাজের সার্বিক কল্যাণের জন্য অপরিহার্য। আমি ইউনিসেফের সাথে এই অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে পেরে আনন্দিত; এর মাধ্যমে সুইডেন বাংলাদেশে শিশুদের অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে সহায়তা অব্যাহত রাখবে।”
২০০৫ সাল থেকে এপর্যন্ত সুইডেন বাংলাদেশে ইউনিসেফকে ৬ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি সহায়তা দিয়েছে এবং ইউনিসেফের বিশ্বব্যাপী প্রধান কর্মসূচিগুলোতে সহায়তাকারীদের মধ্যে সুইডেন বরাবরই অন্যতম।সুইডেনের এই উদার অবদান ইউনিসেফের উন্নয়ন ও বিশ্বব্যাপী মানবিক কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতি বছর লাখ লাখ শিশুর কাছে প্রয়োজনীয় সেবা পৌঁছে দিতে সহায়তা করছে।
কেআই//