শেষ পর্যায়ে দেশের প্রথম উড়াল রেলস্টেশনের কাজ (ভিডিও)
মুহাম্মদ নূরন নবী
প্রকাশিত : ০৪:১৫ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার
দেশের প্রথম এলিভেটেড বা উড়াল রেলস্টেশন নির্মিত হচ্ছে ঢাকার কেরানীগঞ্জে। ভূমি থেকে ছয় মিটার ওপরে এই আইকনিক স্টেশনের নির্মাণ কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে। এখানে দুটি প্রধান লাইন ও দুটি লুপ লাইন থাকবে। স্টেশনটি চালু হলে কমলাপুরের ওপর বাড়তি যাত্রীর চাপ কিছুটা কমবে।
ভারসাম্যের সাথে সামঞ্জস্য ছাড়া একটি ট্রেন চাইলেই ওপরে ওঠানো বা ভূমিতে নামানো যায় না।
এ’কারণেই বুড়িগঙ্গার আগ থেকেই উড়াল রেলপথ পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পে। আর ধলেশ্বরীর আগের স্টেশনটি এলিভেটেড করার সিদ্ধান্তে যেতে হয়েছে।
তাছাড়া, জমি অপচয় আর খরচের হিসেবও বেশ কম দেশের প্রথম এই এলিভেটেড স্টেশনের নির্মাণযজ্ঞে।
পদ্মা রেল লিংক প্রকল্প ব্যবস্থাপক-২ বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আহমেদ জামিউল ইসলাম বলেন, “এটা নতুন ভায়াডাক্ট ট্রেন, আমাদের দেশে ইতিপূর্বে আর হয়নি। ডায়াডাক্টের উপর দিয়ে ট্রেনের চলাচল যাত্রীরা খুবই উপভোগ করবে। কেরানীগঞ্জের স্টেশনটিই হচ্ছে এলিভেটেড স্টেশন। এটাই পদ্মা প্রকল্পের নতুনত্ব, যেটা বাংলাদেশে আর হয়নি।”
পদ্মা রেল লিংক প্রকল্প ব্রিজ এন্ড ভায়াডাক্ট ইনচার্জ আমিনুল করিম বলেন, “নেভিগেশনের জন্য বেশি উচ্চতা হয়েছে, ওই অনুযায়ী যখন আনা হয়েছে তখন দেখা গেছে যদি মাটিতে কাজ করা হয় তাহলে অনেক জায়গা নিবে, উঁচু হয়ে যাবে।”
চারটি লাইন ও দুটি প্ল্যাটফর্মকে সংকুলান করা হয়েছে এক দশমিক চার-চার কিলোমিটার ইয়ার্ডে।
পাথরবিহীন এই উড়াল রেললাইনে যাত্রী সেবায় রাখা হয়েছে বিশ্বমানের আয়োজন। আছে এস্কেলেটর, লিফট, সাধারণ সিঁড়িসহ সব ধরনের সুবিধা।
আমিনুল করিম বলেন, “লিফট রাখা হয়েছে, যারা প্রতিবন্ধী তাদের জন্য এই সুবিধাটা দেওয়া হয়েছে।”
পদ্মা রেল লিংক প্রকল্প মেটাল ইঞ্জিনিয়ার লুৎফর রহমান বলেন, “স্টেশনটি একটা আইকনিক স্টেশন, কাজের গুণগত মান এবং সেফটি বজায় রেখে কাজ যাতে নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হয় সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি।”
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাশাপাশি উত্তরের যাত্রীদের বাড়তি রেল সুবিধা দিতে সক্ষমতা বাড়িয়ে তৈরি হচ্ছে স্টেশনটি।
ঢাকা কেন্দ্রীয় স্টেশন কমলাপুরের বাইরে এয়ারপোর্ট স্টেশনটি যেমন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ঠিক তেমনিভাবে কেরানীগঞ্জে তৈরি হচ্ছে এই এলিভেটেড স্টেশনটি। এটি কেরানীগঞ্জের স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি জগনাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস, নতুন ড্যাপ এরিয়াসহ এখানে যে বিপুল চাহিদা তৈরি হবে সেই মানুষগুলোকে বিশ্বমানের রেলওয়ে সেবা দিতে এই স্টেশনটি তৈরি করা হচ্ছে। আর সেটি হলে দক্ষিণাঞ্চলে যে রুটগুলো রয়েছে সেখানের যাত্রীরা এই স্টেশনটি ব্যবহার করে সুবিধা নিতে পারবে।
এএইচ