ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৩ ১৪৩১

শেখ রেহানার ৬৯তম জন্মদিন আজ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২১ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বুধবার

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ছোট মেয়ে শেখ রেহানার ৬৯তম জন্মদিন আজ। তিনি ১৯৫৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে দুই কন্যা ছাড়া বঙ্গবন্ধুর পুরো পরিবারকে কিছু বিপথগামী সেনা সদস্য নির্মমভাবে হত্যা করে। সেসময় শেখ রেহানা তার বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করছিলেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনিও পরিবারের সঙ্গে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দ্বারা ধানমন্ডিতে গৃহবন্দী ছিলেন। শেখ রেহানা ‘ছোটো আপা’ নামে পরিচিত। 

তিনি  প্রফেসর ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিককে বিয়ে করেন এবং তাদের তিন সন্তান, তাদের মধ্যে এক ছেলে ও দুই মেয়ে। ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক একটি আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত এবং আওয়ামী লীগের গবেষণা শাখা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)-এর ট্রাস্টি, মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ পার্লামেন্টের লেবার পার্টির এমপি এবং কনিষ্ঠ মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তি লন্ডন ভিত্তিক কন্ট্রোল রিস্কস-এর গ্লোবাল রিস্কস এনালিসিস এডিটর হিসেবে কাজ করছেন।

শেখ রেহানা ১৯৭৯ সালে তার ভাষণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিরুদ্ধে বিচারের জন্য প্রথম বিশ্বব্যাপী আহ্বান জানানোর কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন। তিনি ১৯৭৯ সালে সুইডেনের স্টকহোমে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু এবং ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিরাপত্তা হেফাজতে নিহত জাতীয় চার নেতার হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে প্রথম বিচারের আন্তর্জাতিক আহ্বান উত্থাপন করেন।

তিনি স্টকহোমে ১৯৭৯ সালের ১০ মে ইউরোপীয় দেশসমূহের প্রধান, জাতিসংঘ প্রধান এবং আন্তর্জাতিক এনজিও’র উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের অংশগ্রহণে একটি সর্ব-ইউরোপীয় বাকশাল সম্মেলনে বক্তৃতার মাধ্যমে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে অন্ধকার অধ্যায়ের দিকে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

সেসময় শেখ হাসিনা দিল্লিতে ছিলেন এবং বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের পর তৎকালীন সামরিক সমর্থিত বাংলাদেশ সরকারের ওপর বৈশ্বিক চাপ সৃষ্টির জন্য আওয়াজ তুলতে ইউরোপে থাকা তার ছোট বোনকে সেখানে পাঠিয়েছিলেন।

 সেই আবেগঘন ভাষণের মধ্য দিয়ে তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের ওপর বৈশ্বিক চাপ সৃষ্টির জন্য তার কণ্ঠস্বর উত্থাপিত হওয়ায়- সেই ঘটনা ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছে।

এএইচ