সুনামির মতো বন্যায় লিবিয়ায় প্রাণহানী ৫ হাজারের বেশি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:২৩ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বুধবার | আপডেট: ১০:২৫ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বুধবার
লিবিয়ায় সুনামির মতো বন্যায় সাগরে ভেসে যাওয়া মানুষকে উদ্ধার করতে রীতিমত লড়াই করতে হচ্ছে উদ্ধারকারী দলগুলোকে। ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড লিবিয়ায় বেড়েই চলেছে প্রাণহানি। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন অন্তত ৫ হাজার ৩০০ মানুষ। নিখোঁজ রয়েছেন কয়েক হাজার।
ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েল আঘাত হানার পর দিন যত যাচ্ছে ততো হতাশা বাড়ছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মাঝে। উদ্ধার তৎপরতা পর্যাপ্ত নয় বলে ক্ষোভ প্রকাশ করছে মানুষ।
সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, মৃতের সংখ্যা অন্তত পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক মানবিক সহয়তা সংস্থা রেড ক্রিসেন্ট জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১০ হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছে। তাদের অনুমান অনুযায়ী প্রায় ২০ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
বেনগাজি প্রশাসন জানিয়েছে, ভূমধ্যসাগরীয় শহর দেরনা থেকে এক হাজারেরও বেশি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এরই মধ্যে ঘরহারা মানুষ কোনোমতে উঁচু স্থানে তাঁবুতে ঠাঁই নিয়েছে। কিন্তু বন্যার ভয় তাদের পিছু ছাড়ছে না।
শহরের দুটি বাঁধ ও চারটি সেতু ধ্বসে গেছে এবং ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলে ভেসে গেছে শহরের বড় একটি অংশ।
সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের প্রভাবে দেশটির বেনগাজি, সোসি, আল বায়দা, আল মারজ এবং দেরনা শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় বন্যার পানি সরে গেলেও উপকূলীয় শহর দেরনায় পানির স্তর বিপৎসীমার ১০ ফুট ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় প্রাণহানির ঘটনায় তিন দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
কিছু উদ্ধার তৎপরতা সেখানে শুরু হয়েছে, যাতে এগিয়ে এসেছে মিশরও। তবে লিবিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে এ তৎপরতা কিছু বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। দেশটি এখন দুটি সরকারের নিয়ন্ত্রণে বিভক্ত হয়ে আছে।
যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইরান, ইটালি, কাতার এবং তুরস্কসহ কিছু দেশ জানিয়েছে প্রয়োজনীয় সহায়তা করতে তারাও প্রস্তুত আছে।
এএইচ