ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

স্থানীয় সরকার শক্তিশালী না হলে সুফল পাবে না সমাজ (ভিডিও)

আদিত্য মামুন

প্রকাশিত : ১২:৪৫ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার

স্থানীয় সরকার শক্তিশালি না হলে সুফল পাবে না নাগরিক সমাজ। ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণের পাশাপাশি জনগণের সেবা বৃদ্ধির জন্য তাদেরকে দিতে হবে রাজস্ব আয়ের ভাগ-এমন অভিমত বিশেষজ্ঞদের। একইসঙ্গে জনপ্রতিনিধিদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতের দাবিও করেন তাঁরা। 

বর্তমান সরকার গেল ১৫ বছরে স্থানীয় সরকার কাঠামোর খোলনলচে অনেকটাই পাল্টে দিয়েছে। শহর থেকে গঞ্জ কিংবা নগর হতে অজপাড়াগাঁয়ের অবকাঠামোর পরিবর্তন হয়েছে চোখে পড়ার মতো।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমলাতান্ত্রিকতার চরম উত্থান তৃণমূলের উন্নয়নকে বিশেষ ব্যাহত করছে। এর সঙ্গে আছে সমন্বয়হীনতা। 

সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, “সিটি কর্পোরেন বা পৌরসভার রাজস্ব দিয়ে নিজের চলবার কথা কিন্তু সেটা পারছেনা। পারছেনা কারণ তার রাজস্ব আয় নেই যেটা প্রয়োজন ছিল। তখন কেন্দ্রীয় সরকারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। কিছু সিস্টেম আছে যেটা তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, পানি সরবরাহ ব্যবস্থা, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের বিষয় তার নিয়ন্ত্রণে নেই।”

বাজেটে অপর্যাপ্ত বরাদ্দ, পদসোপান ও পদমর্যাদাগত দ্বন্দ্ব থাকার পরেও কোনও কোনও শহর-নগর হয়ে উঠেছে উন্নয়নের উদাহরণ। 

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, “রাজশাহীতে ২০০৮ সালে আমি প্রথমবার নির্বাচিত হই। তখন থেকেই আমি সমন্বয় করে আসছি। তাতে আগেই জানতে পারি সড়ক বিভাগ কোন রাস্তাটি কবে কাটবে বা নতুন করে করবে। এসব জেনে নেয়ার কারণে ঢাকায় যে তীক্ত অভিজ্ঞতা সেটা কিন্তু রাজশাহীতে নেই।”

হাল আমলে এসে স্থানীয় সরকারের কিছু কিছু পদ নিয়ে নতুন করে ভাববার সময় এসেছে- এমন অভিমত স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞদের। 

ন্যাশনাল ইউনির্ভাসিটির ডিস্টিংগুয়িস্ট প্রফেসর প্রফেসর ডক্টর আখতার কামাল বলেন, “উপজেলা পরিষদে নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং দু’জন ভাইস চেয়ারম্যান আছেন। কিছু কাজ জেলা পরিষদকে দেয়া হয়েছে। কিন্তু অর্থের কোনো কাটছাট হয়নি। আমাদের ভেবে দেখতে হবে আগামীতে জেলা পরিষদের কোনো প্রয়োজন আছে কিনা।”

কেন্দ্রের সাথে তৃণমূলের সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং সেবাদানকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যেকার সমন্বয়কেও গুরুত্ব দেন বিশিষ্টজনেরা। 

এএইচ