ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

পৃথক দুটি অভিযানে আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ১ জন গ্রেফতার 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:০৪ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার

এন্টি টেররিজম ইউনিট এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন 'আনসারুল্লাহ বাংলা টিম' এর এক (০১) জন সক্রিয় সদস্যকে রাজধানীর ভাটারা থানাধীন যমুনা ফিউচার পার্ক এলাকা হতে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম: মোহাম্মাদ আরিফ (২৩), পিতা- মোঃ হানিফ, মাতা- মৃত শেফালি আক্তার, সাং-ফেকামারা, পোষ্ট- জালালপুর, থানা- কটিয়াদি, জেলা- কিশোরগঞ্জ। বর্তমানে গাজীপুর জেলার টঙ্গী থানাধীন চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় বসবাস করছিল।

গ্রেফতারকৃত আসামী মোহাম্মদ আরিফ কথিত ইসলামী বক্তা জসীম উদ্দিন রাহমানি, তামিম আল আদনানীদের ওয়াজ শুনে উদ্বুদ্ধ হয়ে “আনসারুল্লাহ বাংলা টিম" এর সক্রিয় সমর্থক ও সদস্য হয়। “আনসারুল্লাহ বাংলা টিম" এ যুক্ত হওয়ার পর গ্রেফতারকৃত মোহাম্মদ আরিফ তার বর্তমান ঠিকানা টঙ্গী বাজার চেয়ারম্যান বাড়ি এলাকায় গোপনে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। এটিইউ কর্তৃক গ্রেফতারের পূর্ব পর্যন্ত মোহাম্মদ আরিফ " আনসারুল্লাহ বাংলা টিম" এর সদস্য সংগ্রহ ও সংগঠিত করার পাশাপাশি সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষণের প্রস্তুতি নিচ্ছিল।

এন্টি টেররিজম ইউনিট গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তির নজরদারীর মাধ্যমে গ্রেফতারকৃত আসামী মোহাম্মদ আরিফ এর অবস্থান সনাক্ত করে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকালে তার কাছ থেকে দাওয়াতি কার্যক্রমে ব্যবহৃত ০২ টি মোবাইল ফোন, একটি কম্পিউটার সিপিইউ, ০১ টি হার্ডডিস্ক ড্রাইভ, ০১ টি পাসপোর্ট ও বিভিন্ন ডকুমেন্ট জব্দ করা হয়। ধৃত আসামী মোহাম্মদ আরিফ (২৩) ও পলাতক আসামী ২। ইয়াকুল হুজুর ৩ ওমর ফারুক ও ৪ জাহান খান সহ তাদের অজ্ঞাতনামা সহযোগী আসামীদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ (সংশোধনী/২০১৩) এর ৮/৯(৩)/১৩ ধারা মোতাবেক টঙ্গী পূর্ন থানার মামলা নং- ২২, তারিখ- ১৩/০৯/২০১৩ খ্রি. রুজু করা হয়েছে।

এটিইউ এর অপর একটি আভিযানিক দল বিভিন্ন সময়ে ঢাকা মহানগরের চানখাঁর পুল, জুরাইন বিক্রমপুর প্লাজা, জুরাইন বুড়িগঙ্গা সেতুমার্কেট, যমুনা ফিউচার পার্কসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোবাইল চোর, চোরাই মোবাইল কেনাবেচা ও আইএমইআই পরিবর্তনের সাথে জড়িত একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্রের ০৯ (নয়) সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের নাম (১) মোঃ বাহাউদ্দিন হোসেন মিজি ( বাহার (৩৫), পিতা- মৃত দিল মাহমুদ মিজি, সাং- বানিয়াল মহেষপুর পশ্চিম কান্দি, থানা ও জেলা- মুন্সীগঞ্জ, বর্তমান ঠিকানা- শনির আখড়া ২৪ ফুট, থানা-কদমতলী, ডিএমপি, ঢাকা, (২) রমজান আলী (২৯), পিতা- মৃত আঃ আলী, মাতা- মোসাঃ জাবেদ বেগম, সাং- কাজীপাড়া, থানা- বোনা, জেলা- পঞ্চগড়, বর্তমান ঠিকানা- নাখালপাড়া রেল লাইন বস্তি, থানা- তেজগাঁও, ডিএমপি, ঢাকা, (৩) মোঃ হামিম আহমেদ ও হামিম (৩৪), পিতা- মৃত কমর উদ্দিন, মাতা-মৃত রাশিদা বেগম, সাং- নিম্নাঞ্চল, থানা- জকিগঞ্জ, জেলা- সিলেট, বর্তমান ঠিকানা- পশ্চিম বাংলা, থানা- কেরানীগঞ্জ মডেল, জেলা- ঢাকা, (৪) মোঃ আতিকুল ইসলাম (২৮), পিতা-মৃত গোলাম হোসেন, মাতা- মোসাঃ মাজেদা বেগম, সাং- জাহাঙ্গীরপুর, খানা- নান্দাইল, জেলা-ময়মনসিংহ, বর্তমান ঠিকানা- ৭২৬ কুমিল্লা পট্টি, মানিকনগর (সোহেলের বাড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা-মুগদা, ডিএমপি, ঢাকা, (৫) মোঃ পারভেজ হাসান (১৮), পিতা-মোঃ সোহরাব, মাতা- ফরিদা বেগম, সাং- কালিকামুড় (সূর্যমনি ইউপি), থানা- বাউফল, জেলা-পটুয়াখালী, বর্তমানে দয়াগঞ্জ ২২ নং মেছের পাশে, থানা- যাত্রাবাড়ী, ডিএমপি, ঢাকা, (৬) মোঃ মাসুদুর রহমান (3) মাসুদ (৩২), পিতা- মৃত মতিউর রহমান, মাতা- মোসাঃ আমিরুননেছা, সাং- খিলা, থানা- আটপাড়া, জেলা-নেত্রকোনা, বর্তমান ঠিকানা- সুলতানগঞ্জ রোড, ট্যানারীর মোড়, শাহী মসজিদ, থানা-হাজারীবাগ, ডিএমপি, ঢাকা, (৭) মোঃ সাইফুল ইসলাম (২৮), পিতা- কামাল ইসলাম, মাতা- হামিদা বেগম, সাং- সুলতান শাহী থানা ও জেলা- গোপালগঞ্জ, বর্তমানে ১৪৯৯ দক্ষিণ দনিয়া, থানা- কদমতলী, ডিএমপি, ঢাকা, (৮) মোঃ ফয়সাল আহমেদ রনি (৩৪) পিতা- মোঃ আওরঙ্গজের, মাতা- আফরোজা বেগম, সাং- বাজার চর, থানা- দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ জেলা- ঢাকা, বর্তমান ঠিকানা- ১১৬ দনিয়া রসুলপুর, থানা-কদমতলী, ডিএমপি, ঢাকা, (৯) মোঃ মিল্লাত হোসেন (২৬), পিতা- মোঃ গোলাম রসুল, মাতা মোসাঃ মোমেনা বেগম, সাং- ডায়নার পাড়, থানা- নাগেশ্বরী, জেলা- কুড়িগ্রাম, বর্তমান ঠিকানা- বাশেরপুল, ঢাকা টাওয়ারের চতুর্থ তলা, থানা- ডেমরা, ডিএমপি, ঢাকা।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের দেয়া তথ্য ও সনাকমতে চোরাই মোবাইল কেনাবেচা ও আইএমইআই পরিবর্তনের কাজে ব্যবহৃত ০৩টি ল্যাপটপ, ০১টি মনিটর, ০৭টি মোবাইল ফোন, কম্পিউটার ও ল্যাপটপ সামগ্রী, আইএমইআই পরিবর্তনের কাজে ব্যবহৃত ১৬টি ডিভাইস জন্ম করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তারা দলভুক্ত হয়ে ঢাকা শহর ও আশপাশের জেলা সমুহের বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, ওয়াজ মাহফিল এবং মানুষের জানাজার নামাজসহ জনসমাগমস্থল হতে মোবাইল ফোন চুরি করে এবং অভ্যাগতভাবে চোরাই মোবাইল সেটসমূহের আইএমইআই পরিবর্তন করে কেনা-বেচা করে থাকে। আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানু ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।