চিলমারী-রৌমারী রুটে চালু হচ্ছে ফেরি
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১১:০০ এএম, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রবিবার
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর রমনাঘাট চিলমারী-রৌমারী রুটে ফেরি চলাচলের মধ্য দিয়ে দারিদ্যপীড়িত জেলা কুড়িগ্রামে উন্নয়নের একটি নতুন মাত্রা যোগ হচ্ছে। ইতিমধ্যে ‘কুঞ্জলতা’ নামের একটি ফেরি রমনা ঘাটে পৌঁছেছে।
আরিচাঘাট থেকে ফেরিটি শুক্রবার সন্ধ্যায় চিলমারী নদীবন্দরে সংযুক্ত করা হয়। এর আগে সংযোগ সড়ক, পল্টুনসহ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।
ফেরি আসার সংবাদে খুশি এ অঞ্চলের মানুষজন।
আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে চিলমারী-রৌমারী নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু হবে বলে বিষয়টি জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ'র উপপরিচালক মাহফুজ আলম সজল।
জানা গেছে, রৌমারী-রাজীবপুর উপজেলাবাসীর দুঃখ ব্রহ্মপুত্র নদ। জনপদটির লাখো মানুষকে জেলা শহরে যাতায়াতে নৌকার উপর ভরসা করতে হয়। বর্ষা মৌসুমে ঝুঁকি বেড়ে যায় নৌপথে। অন্যদিকে শুষ্ক মৌসুমে চরাঞ্চলে আটকে যায় নৌকা। ফলে দুর্ভোগের সীমা থাকে না যাত্রীদের। এছাড়া বাড়তি ভাড়া আর সিডউল বিপর্যয় তো আছেই।
তবে ফেরি চলাচল শুরু হলে শেষ হবে দীর্ঘদিনের ভোগান্তি। সেই সঙ্গে এ অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটতে পারে বলেও মনে করেন অনেকে।
তবে স্থানীয়দের দাবি বর্ষা মওসুমে ফেরি চলাচল করতে পারলেও গ্রীষ্ম মৌসুমে নাব্যতা সংকটের কারণে ফেরি চলাছল বিঘ্নিত হওয়ার শঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ'র উপপরিচালক মাহফুজ আলম সজল বলেন, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন ফেরিটি উদ্ধোধন করবেন। উদ্ধোধনের পর আরও একটি ফেরি রৌমারী ঘাটে যুক্ত করা হবে। নিয়মিত ফেরি দুটি ওই রুটে চলাচল করবে।
এছাড়াও নাব্যতা সংকট দূর করতে চিলমারী ও রৌমারী ঘাটে দুটি ড্রেজার অবস্থান করা হবে। ফেরি চলাচলে কোথাও বিঘ্নতা ঘটলে ড্রেজার দুটি সার্বক্ষনিক কাজ করবে।
এএইচ