সপ্তাহে তিন দিন ছুটি-চারদিন কাজ, কোথায় শুরু এই সিস্টেম?
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৩৬ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার
অনেক দেশ অবশ্য সপ্তাহে তিন দিন ছুটি নিয়ে পরীক্ষায় নেমেছে। যার অর্থ, কর্মীরা সপ্তাহে চার দিন কাজ করলেই পাবে পুরো মাসের বেতন।
বিশ্বের বুকে বদলে যাচ্ছে কর্ম সংস্কৃতির ভাষা । এখন আর সপ্তাহে ৬দিনের পরিবর্তে ৫দিন কাজ রাখছে অনেক কোম্পানি। মূলত, সপ্তাহে কাজের সময় কমাতেই এই সুযোগ করে দিচ্ছে অনেক কোম্পানি। অনেক দেশ অবশ্য সপ্তাহে তিন দিন ছুটি নিয়ে পরীক্ষায় নেমেছে। যার অর্থ, কর্মীরা সপ্তাহে চার দিন কাজ করলেই পাবে পুরো মাসের বেতন।
কর্মজীবী লোকেরা সাধারণত সপ্তাহে ৫-৬ দিন অফিসে যান। বাংলাদেশের বেশিরভাগ জায়গায় রয়েছে এই ব্যবস্থা। বর্তমানে অবশ্য ব্যাঙ্কগুলিতে সপ্তাহে দুই দিনের ছুটি রয়েছে। যেকারণে ব্যাঙ্ক কর্মীরা সপ্তাহে দুই দিন ছুটি পাবেন। অন্যদিকে, অনেক দেশ অফিস টাইম নিয়ে নতুন নতুন পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ করছে, যা সারা বিশ্বে কাজের সংস্কৃতি নিয়ে নতুন বিতর্ক শুরু করেছে।
ফল ভালো হলে স্থায়ী ব্যবস্থা
কর্মসংস্কৃতি এই নতুন এই বিতর্ক শুরু হয়েছে সপ্তাহে চারদিন কাজ করাকে কেন্দ্র করে। অনেক দেশ কর্মীদের সপ্তাহে মাত্র চার দিন কাজ করে বাকি তিন দিন বিশ্রাম দেওয়ার সুপারিশ করছে।
এখন এই নতুন বিতর্কে সর্বশেষ নাম যুক্ত হয়েছে স্কটল্যান্ডের, যারা ৪ দিনের কর্ম সপ্তাহ ব্যবহার করা শুরু করেছে। এই পরীক্ষায় ভালো ফল পেলে নতুন ব্যবস্থাকে স্থায়ী করার বিষয়ে বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এটি স্কটিশ সরকারের পরিকল্পনা
এই নতুন ব্যবস্থার পরীক্ষায় স্কটল্যান্ড নির্বাচিত সরকারি কর্মচারীদের সপ্তাহে মাত্র চার দিন কাজ করার অনুমতি দিয়েছে। এই পরীক্ষায় বিভিন্ন সরকারি দফতর ও সংস্থাকে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। স্কটিশ সরকার দেখতে চায় ,কীভাবে কাজের সপ্তাহ ছোট করে কর্মীদের উপর কাজের চাপ কমানো যায়। মূলত, কাজের সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৪ দিনের কর্ম সপ্তাহ নিয়ে শুরু বিতর্ক
স্কটিশ সরকার ২০২৩-২৪ এর জন্য তার কর্মসূচিতে এই পাইলট প্রজক্টকে বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেছে। কাজের সময় কমানোর সম্ভাব্য সুবিধা সম্পর্কে জানতে সরকার এটি শুরু করেছে। অনেক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, যে কর্মদিবস এবং ঘণ্টা কমিয়ে দিলে কর্মীদের আউটপুট বাড়ে। এই কারণেই ৪ দিনের কর্ম সপ্তাহ নিয়ে বিতর্ক গত কয়েক বছরে বিশ্বজুড়ে তীব্র হয়েছে।
ব্রিটেন গত বছর এই বিষয়ে বিচার করেছিল
স্কটল্যান্ডের আগে গত বছরের জুলাইয়ে এ ধরনের পরীক্ষা শুরু করেছিল ব্রিটেন। ব্রিটেনের ট্রায়ালটি এখনও পর্যন্ত ৪ দিনের কাজের সপ্তাহে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ট্রায়াল ছিল। এতে ৬ মাস ধরে প্রায় ৬১টি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের সপ্তাহে চার দিন কাজ ও তিন দিন বিশ্রামের ব্যবস্থা করা হয়। ট্রায়াল শেষ হওয়ার পরে, কর্মচারীদের পুরনো সিস্টেমে ফিরে যাওয়া বা ৪-দিনের কাজের সপ্তাহ বজায় রাখার মধ্যে বেছে নেওয়ার বিকল্প দেওয়া হয়েছিল। ট্রায়ালের সঙ্গে জড়িত প্রায় ৩০০০ কর্মচারীদের বেশিরভাগই ৪-দিনের কর্ম সপ্তাহ বেছে নেয়।
সূত্র: এবিপি আনন্দ
এসবি/