ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

অক্টোবরে উন্মুক্ত হচ্ছে বাকলিয়া এক্সেস সড়ক (ভিডিও)

একরামুল হক

প্রকাশিত : ০১:২৩ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বুধবার

চট্টগ্রাম নগরীর দুটি সড়কের ওপর যানজটের চাপ কমাতে নির্মিত বাকলিয়া এক্সেস সড়ক। অক্টোবরে গাড়ি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। মাত্র দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘে্যর সড়কটি বানাতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সময় লেগেছে সাত বছর! এর মধ্যে তিন দফা প্রকল্পের মেয়াদও বাড়ানো হয়। এতে ব্যয় সাড়ে ১৪ কোটি টাকা বেড়ে ২২০ টাকায় উন্নীত হয়। 

কক্সবাজার, দক্ষিণ চট্টগ্রাম ও বান্দরবান থেকে যানবাহন চট্টগ্রাম শাহ আমানত সেতু হয়ে নগরে প্রবেশ করতে বহদ্দারহাট কিংবা কোতোয়ালী মোড় ঘুরে আসতে হয়। এর ফলে কোতোয়ালী-বহদ্দারহাট সড়কে যানজট লেগেই থাকে। তাই যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে ২০১৬ সালের ৬ আগস্ট প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায়। 

২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। কিন্তু জমি অধিগ্রহণ এবং একটি বহুতল ভবন নিয়ে জটিলতার কারণে কাজ শুরু করতে তিন বছর লেগে যায়। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে লাগে আরও চার বছর! অবশেষে অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন সড়কটি গাড়ি চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করবেন। 

সিডিএ প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, “অক্টোবরে এই প্রকল্পটি উদ্বোধন হবে। সড়কটি চালু হলে স্বল্পতম সময়ের মধ্যে নগরীতে আসতে পারবে যানবাহন।”

চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া জনবহুল এলাকা হিসেবে পরিচিত। অপরিকল্পিতভাবে সেখানে বাড়িঘর গড়ে ওঠে। কিন্তু সহজ যাতায়াতের জন্য ছিল না প্রশস্ত সড়ক। নতুন সড়কটি চালু হলে বিশাল এই জনপদ শহরের মূল কেন্দ্রের সাথে সম্পৃক্ত হবে। 

পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের সদস্য প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, “কর্ণফুলির নদীর পাড় থেকে শুরু করে নদীর অপর পাড় এবং দক্ষিণাঞ্চলের কোনো একটি সড়ক জ্যাম হলে বিকল্প রাস্তায় আমরা যাতায়াত করতে পারবো। সেই দিক থেকে এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক।”

বাকলিয়ার কালা মিয়ার বাজার থেকে সিরাজউদ্দৌলা সড়কের সঙ্গে নতুন সড়কটি যুক্ত হচ্ছে। সড়কটি চালু হলে নগরের মূল কেন্দ্র থেকে পাঁচ-ছয় মিনিটের মধ্যে শাহ আমানত সেতুতে ওঠা যাবে। 

চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক ও স্থানীয় বাসিন্দা সরওয়ার হাসান জামিল বলেন, “নগরপ্রাপ্ত থেকে বাকলিয়া হয়ে যে ফোর লেনটা হচ্ছে এটার জন্য যারা কক্সবাজার যাবে তারা ৫ মিনিটের মধ্যে কক্সবাজার সড়কে উঠতে পারবে। এটা বিশাল ব্যাপার।”

বাকলিয়া এক্সেস সড়কটি চালু হলে বহদ্দারহাট, চকবাজার, রাহাত্তারপোল, চাক্তাই ও কোতোয়ালী মোড়ে যানজট অনেকাংশে কমে যাবে। এছাড়া দক্ষিণ চট্টগ্রাম কিংবা কক্সবাজারগামী যাত্রীদের প্রায় এক ঘণ্টা সাশ্রয় হবে। 

এএইচ