চিলমারী-রৌমারী রুটে ফেরি চলাচল শুরু
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৩:২৩ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বুধবার | আপডেট: ০৩:২৪ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বুধবার
দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর চিলমারী-রৌমারী রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দারিদ্যপীড়িত জেলা কুড়িগ্রামে উন্নয়নের একটি নতুন মাত্রা যোগ হলো। 'কুঞ্জলতা' নামের ফেরিটি ব্রহ্মপুত্র নদের নৌ রুটে চলাচল শুরু করেছে।
বুধবার ফেরি চলাচল উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
পরে এক সুধী সমাবেশে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চিলমারী-রৌমারী রুটে শুরু হলো ফেরি চলাচল। আজকে বিআইডব্লিউটিসির 'কুঞ্জলতা' ফেরি দিয়ে চিলমারী-রৌমারী রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, আজ থেকে ফেরি চলালের কারণে ব্রম্মপুত্র নদ বিধৌত রৌমারী-রাজীবপুর উপজেলার মানুষদের জেলা শহরে যাতায়াতে ভোগান্তি কমে আসবে। চিলমারী-রৌমারী রাজিবপুর নয়, কুড়িগ্রামের সাথে ঢাকার যোগাযোগ অনেক সহজ হবে, যাতায়াত খরচও কমে যাবে। পরবর্তিতে আরও একটি ফেরি এ রুটে যুক্ত হবে। এ রুটের নাব্যতা বজায় রাখার জন্য দুটি ড্রেজার থাকবে। ফেরি সার্ভিস চলাচলের মধ্য দিয়ে নদী পথে যোগ হলো যোগাযোগের নতুন মাত্রা।
বিআইডব্লিউটির চিলমারী নৌবন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্রহ্মপুত্র নদের বুকে চিলমারী-রৌমারী রুটে নৌপথের দৈর্ঘ্য ২১ কিলোমিটার। তবে নদের ড্রেজিং করা হলে এ পথের দৈর্ঘ্য কমে হবে ১৩ থেকে ১৪ কিলোমিটার।
কুড়িগ্রাম জেলার ৯টি উপজেলার মধ্যে দুটি উপজেলা রৌমারী ও চর রাজীবপুর ব্রহ্মপুত্র নদ দিয়ে বিচ্ছিন্ন। এ দুটি উপজেলার মানুষকে নৌকায় করে ঝুঁকি নিয়ে কুড়িগ্রাম জেলা শহরে যেতে হতো। এখন ফেরি চলাচল শুরু হওয়ায় তারা নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারবেন।
বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর আরিফ আহমেদ মোস্তফার সভাপতিত্বে এক সুধি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, অতিরিক্ত সচিব বিআইডব্লিটিসির চেয়ারম্যান এস এম ফেরদৌস আলম, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, জেলা পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন।
সুধি সমাবেশে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন ফেরি পারা পারের ভাড়া কমানোর দাবি তুলেন। এ প্রসঙ্গে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখানে ভাড়া কমানোর একটা দাবি রেখেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। আমি সর্বসাধারণের সুবিধার জন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রস্তাবিত ভাড়া থেকে কমিয়ে সিএনজি চালিত বেবী ট্যাক্সি/অটোরিক্সা ৬৬০ টাকা থেকে কমিয়ে ৩০০ টাকা, মোটরসাইকেল ২২০ টাকা থেকে কমিয়ে ১০০ টাকা, বাইসাইকেল ১২০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫০ টাকা, জনসাধারণের জন্য প্রস্তাবিত ৮০ টাকা থেকে কমিয়ে ৫০ টাকা করার নির্দেশ দিয়েছি।’
তিনি জানান, মুক্তিযোদ্ধা ও এম্বুলেন্সের কোন ভাড়া লাগবে না। এ ছাড়া অন্যান্য যানের ক্ষেত্রে ভাড়া শতকরা পনের ভাগ কমানো হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
বিকালে রৌমারী নৌকা ঘাটে অনুরূপ একই সুধি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
এএইচ