বিএসএমএমইউতে আলাদা হলো জোড়া লাগানো দুই শিশু
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:১৪ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বুধবার
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পেটে ও বুকে জোড়া লাগানো দুটি শিশুর দেহে সফলভাবে অস্ত্রোপচার শেষ হয়েছে। এই অস্ত্রোপচারে শিশু দুটিকে আলাদা করা হয়েছে।
বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের অপারেশন থিয়েটারে এই অস্ত্রোপচার করা হয়। এতে আলাদা হওয়া দুটি শিশু হলো গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার ৭৮ দিন বয়সী আবু বকর ও ওমর ফারুক।
অস্ত্রোপচারের আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ অস্ত্রোপচারে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ এবং শিশু দুটির মা-বাবার সঙ্গে দেখা করে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আল আমিন শেখ ও চায়না বেগম দম্পতির ঘরে চলতি বছরের ৪ জুলাই পেটে জোড়া লাগা ওই শিশুর জন্ম হয়।
জন্মগ্রহণের পর শরীরে জটিলতা দেখা দিলে ৫ জুলাই তাদেরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কেএম জাহিদ হোসেনের অধীনে ২০১ নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হয়।
এরপর পেটে জোড়া লাগানো যমজ এ দু শিশুর চিকিৎসার সব দায়িত্বভার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রহণ করেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল আবু বকর ও ওমর ফারুকের নানান পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে বুধবার সকাল সাড়ে আটটায় তাদের শরীরে অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন।
এ অস্ত্রোপচারে শিশু সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কে এম জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে বিভাগের অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন, সহকারী অধ্যাপক ডা. কে.এম. সাইফুল ইসলাম, মেডিক্যাল অফিসার ডা. উম্মে হাবিবা দিলশান মুনমুন এবং নার্সিং অনুষদের ডিন ও অ্যানেসথিয়া বিভাগের অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, এনেসথিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবাশীষ বণিক এবং নার্সিং ইনচার্জ মেহেরুন্নেসাসহ অন্যরা অংশ নেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আবু বকর ও ওমর ফারুকের লিভার ও বুকের হাড় সংযুক্ত ছিল। পোস্ট অপারেটিভে এ দু শিশু বিশেষজ্ঞদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এ শিশু দুজনের শারীরিক অবস্থা এখন পর্যন্ত সংকটমুক্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের দেশের সার্জনরা এ ধরনের জটিল রোগের চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে সক্ষম এবং এ রকম জটিল রোগের চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। স্বল্প খরচে দেশের প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধাতেই বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব।’ বাসস
এমএম//