সৌর চালিত লিফট পাম্পে বদলে গেছে কৃষিচিত্র (ভিডিও)
লিয়াকত আলী বাদল, রংপুর থেকে
প্রকাশিত : ০৩:১৭ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ শনিবার
সৌরবিদ্যুত চালিত লিফট পাম্পে বদলে গেছে রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার কাগজীপাড়ার কৃষি-চিত্র। একসময় বছরের ৮ মাসই পতিত থাকতো এ গ্রামের জমি। এখন আমন, বোরো ধানসহ সব ধরনের সবজি চাষ করছে কাগজীপাড়ার দেড়শ’ পরিবার
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম কাগজীপাড়া। সৌর বিদ্যুতচালিত পাম্প বদলে দিয়েছে এখানকার কৃষিচিত্র। বছরের ৮ মাস পতিত পড়ে থাকতো যে জমি সেখানে ফলছে নানা ফসল।
বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনার কাজ করছে। এরই অংশ হিসেবে ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ঘাঘট নদীর তীরবর্তী কাগজীপাড়ায় বসানো হয়েছে সৌর বিদ্যুৎচালিত পাম্প।
এলএলপি বা লো লিফট পাম্পের মাধ্যমে নদীর পানি দিয়ে চলছে সেচকাজ। এতে ফলন ভালো হচ্ছে বলে জানান চাষীরা।
কৃষকরা জানান,এক বিঘা জমিতে ৫শ’ টাকার পানি লাগতো এখন ২শ’ টাকার পানিতে হয়ে যাচ্ছে। এই সোলার আসার পর আমরা অনেক উপকৃত। এখানে যদি আরও ৫০ মিটার বাড়িয়ে দেয় তাহলে সব কৃষক উপকৃত হতে পারতো।
বরেন্দ্র প্রকল্পের কর্মকর্তারা বলছেন, সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে জমি সেচের পাশাপাশি ধান ও ভুট্টা মাড়াইয়ে মেশিন বসানো হয়েছে। কৃষকরা সৌরশক্তির সাহায্যে অনেক কাজ করছেন।
বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সহকারি প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, “ভুট্টা কার মেশিন, ধান মাড়াইয়ের মেশিন ও মশলা ভাঙার মেশিন আমরা দিয়েছি। অন্যদিকে কৃষকরা যাতে স্বল্প খরচে চাষাবাদ করতে তার জন্য এলএলপি’র ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
এলাকায় এ ধরনের প্রকল্পে আরও বাড়ানো দরকার বলেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
মিঠাপুকুর উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, “আরও যদি সোলার প্যানেল হয় তাহলে কৃষকরা উপকৃত হবে। আমরা কৃষি উৎপাদনে আরও একধাপ এগিয়ে যাব।”
মিঠাপুকুর ছাড়া পার্শ্ববর্তী পীরগঞ্জ এবং গাইবান্ধা জেলার ৩টি এলাকার এ ধরনের সেচ কার্যক্রম চলছে।
বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ তত্ত্বাবধায়ক ও প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান খান বলেন, “আমরা বারি’র পাইপ লাইন নির্মাণ করেছি ১ হাজার মিটার। যদিও কৃষকের দাবি, আরেকটু বাড়ানোর জন্য। প্রকল্পে আরও ৫শ’ মিটার বাড়ানোর প্রস্তাবনা রেখেছি।”
ডিজেলচালিত সেচ পাম্পে ঘন্টায় ৪শ টাকা খরচ হতো, এখন সৌর বিদ্যুৎচালিত লো লিফট পাম্পের কৃষকের ব্যয় হচ্ছে ১শ’ টাকা।
এএইচ