ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

৬টি ব্যাচের এক ক্লাসরুম, বার বার আবেদনেও নির্লিপ্ত প্রশাসন

ইবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:১৫ এএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রবিবার | আপডেট: ১০:১৬ এএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রবিবার

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ৬টি শিক্ষাবর্ষের প্রায় সাড়ে চারশ’ শিক্ষার্থীর জন্য বরাদ্দ হয়েছে একটি মাত্র ক্লাসরুম। প্রশাসন বরাবর মোট ৫ বার আবেদন করলেও এখনও সমাধান হয়নি চলমান সংকটের। এদিকে শ্রেণিকক্ষ সংকটে নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা হচ্ছে না বলে অভিযোগ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনে একটি মাত্র শ্রেণিকক্ষ বরাদ্দ রয়েছে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের নামে। এই একটি মাত্র ক্লাসরুমের উপর নির্ভর করে চলছে ৬টি শিক্ষাবর্ষের প্রায় ৪৫০ জন শিক্ষার্থীর ক্লাস-পরীক্ষাসহ যাবতীয় শিক্ষা কার্যক্রম। 

এছাড়া বিভাগীয় সভাপতি ও উপ-রেজিস্ট্রারের জন্য একটি করে কক্ষ বরাদ্দ থাকলেও সহকারীদের জন্য নেই কোনো বসার জায়গা।

তবে এই সংকট নিরসনে বিভাগের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসিমা বানু দুই বার, অধ্যাপক ড. রাকিবা ইয়াসমিন একবার এবং বর্তমান সভাপতি সহকারী অধ্যাপক এ এইচ এম নাহিদ দুই বার প্রশাসন বরাবর আবেদন করলেও এখনো কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ।
 
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, একটি মাত্র ক্লাসরুম বরাদ্দ থাকায় নিয়মিত ক্লাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। রুটিন অনুসারে সময় মতো ক্লাস না হওয়ায় সিলেবাস শেষ হতে বিলম্ব হচ্ছে। ফলে বাড়ছে সেশন জটের সম্ভাবনা। কোনো ব্যাচের পরীক্ষা চললে সেদিন একটা বা দুইটার বেশি ক্লাস নেয়া সম্ভব হয় না। 

আবার একই দিনে দুটি ব্যাচের পরীক্ষা থাকলে সেদিন কার্যত কোনো ক্লাস নেওয়াই সম্ভব হয় না।

বিভাগের শিক্ষকরা জানান, ক্লাসরুম সংকটে সকল ব্যাচের নিয়মিত ক্লাস-পরীক্ষা নিতে পারছেন না। ফলে শিক্ষকদের পক্ষে রুটিন মেনে পাঠদান করাও সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়াও কোনো একটি ক্লাস নিতে হলে দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হয় শিক্ষকদের।

বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক এ এইচ এম নাহিদ বলেন, ক্লাসরুম সংকট নিরসনে প্রশাসনের কাছে বারবার আবেদন করা হয়েছে; দেখা করা হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। এতে বিভাগের শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। 

একটি ক্লাসরুম দিয়ে ৬ ব্যাচের পরীক্ষা-শ্রেণী কার্যক্রম পরিচালনা করা শিক্ষকদের জন্য কষ্টসাধ্য ও রীতিমত অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাও বিভাগের শিক্ষকদের প্রচেষ্টায় সেশন জট নিরসনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: মাহবুবুর রহমান বলেন, জানি শিক্ষার্থীদের কষ্টের বিষয়টা। আমাদের কিছু কিছু বিল্ডিং সম্পর্ণ হওয়ার পথে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বিভাগগুলোর চাহিদা অনুসারে ক্লাসরুম বরাদ্দ করা হবে।

এএইচ