গণতন্ত্রকামী মানুষের বাতিঘর শেখ হাসিনা (ভিডিও)
ফারজানা শোভা, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৩৫ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৩:৩৬ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার
বাংলার দুঃখিনী রাজকন্যা শেখ হাসিনা। উত্থান-পতন আর রাজনৈতিক ঝঞ্ঝায় তাঁর জীবননৌকো কখনও ডোবা-ডোবা, কখনও চলেছে সমান্তরাল। আজ তাঁর ৭৭তম জন্মদিন। গণতন্ত্রকামী মানুষের বাতিঘর হিসেবে পরিচিত শেখ হাসিনার জীবন সংগ্রামের বাকিটা ফারজানা শোভার প্রতিবেদনে।
মধুমতি পারের আট দশটি পরিবারের মতোই মধ্যবিত্তের সংসার শেখ মুজিবুর রহমান আর বেগম ফজিলাতুন্নেছার। ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তাঁদের ঘর আলো করে জন্ম নেন জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ হাসিনা।
ডাক নাম হাসু। যিনি সবার অতি আদরের। স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় হন বদরুন্নেছা মহিলা কলেজে পড়ার সময়। সেই থেকে মিছিল মিটিং আর গণমানুষের ভাগ্য বদলের স্বপ্নে বিভোর শেখ হাসিনা। পশ্চিম পাকিস্তানের অনাচারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলনে অংশ নিয়ে পরবর্তীতে নির্বাচিত হন ছাত্র সংসদের ভিপি।
১৯৬৮ সালে খ্যাতনামা পরমানুবিজ্ঞানী এম ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন শেখ হাসিনা। কোলজুড়ে আসে দুই সন্তান। সেই সুখের সংসার তছনছ হয়ে যায় ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টÑযে রাতে সপরিবারে শহীদ হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
পরিচয় পাল্টে বিদেশে যাযাবর জীবনের শুরু সেদিন থেকে। নানান ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে ১৯৮১ সালে দেশে ফিরলে তাঁকে হাল ধরতে হয় আওয়ামী লীগের। এর আগে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁকে দলের সভাপতি নির্বাচিত করেন নেতাকর্মীরা।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে দুর্বার ভূমিকা পরবর্তীতে তাঁকে প্রধান বিরোধীদলীয় নেত্রীর মর্যাদা দেয়।
ক্রমশ: বামপন্থী দলগুলোর সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে তাঁর। জোটভিত্তিক আন্দোলনে বিজয়ী হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো সরকার গঠন হয়। পিতার স্বপ্ন পূরণের কাজ শুরু করেন যোগ্য মেয়ে শেখ হাসিনা।
২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হলে শেখ হাসিনা হন বিরোধীদলের নেতা। দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের ওপর নেমে আসে বিএনপি-জামায়াত নির্যাতনের খড়গ। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার জনসভায় ভাষণ দেয়ার সময় সরকারের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে গ্রেনেড হামলায় মারাত্মক আহত হন তিনি। ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে গেলেও মারা যান ২৪ নেতাকর্মী। আহত হন তিন শতাধিক।
তাঁর রাজনৈতিক জীবনের মাহেন্দ্রযোগ আসে ২০০৮ সালে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। এরপর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনেও বিজয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখে আওয়ামী লীগ। টানা এই সময়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা যুক্ত হয় উন্নয়নের মহারথে।
শেখ হাসিনার বাংলায় এখন কী নেই? মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, কর্ণফুলী টানেল, রুপপুর পারমানবিক, শতাধিক শিল্পাঞ্চলসহ আরও কতো কী? বাংলার মানুষকে নিয়ে মধ্যযুুগের কবির যে আর্তিÑ‘আমার সন্তান যেনো থাকে দুধেভাতে’- সে আশা শতভাগ পূরণ করেছেন তিনি।
যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখতেন জাতির পিতা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিয়ে আলো হাতে এগিয়ে চলেছেন তিনি। জয়তু শেখ হাসিনা।
এসবি/