ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের বড় জয়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৫২ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ শনিবার | আপডেট: ০৯:০৭ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ শনিবার

বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে বড় জয় পেলো বাংলাদেশ। শেখ মেহেদির দারুণ বোলিংয়ের পর তানজিদ তামিম ও লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজের হাফ দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে টাইগররা। লঙ্কানদের দেয়া ২৬৩ রানের টার্গেট ৪৮ বল হাতে রেখেই পার করে বাংলাদেশ। 

এশিয়া কাপে লঙ্কানদের কাছে টানা দুই ম্যাচ হারলেও বিশ্বকাপের গা-গরমের ম্যাচে তাদের কোনো সুযোগই দিলো না বাংলাদেশ।

ব্যাটিংয়ে নেমেই সাবধানি টাইগাররা। সময় বাড়ার সাথে সাথে লঙ্কান বোলারদের উপর চড়াও হন দুই ওপেনার তানজিদ তামিম ও লিটন দাস। দর্শনীয় সব বাউন্ডারিতে অর্ধ-শত তুলে নেন লিটন। একই পথে হাঁটেন তানজিদ তামিম।

টপ অর্ডারে তানজিদ হাসান, লিটন দাস ও মেহেদি হাসান মিরাজের হাফ-সেঞ্চুরিতে বিশ্বকাপের আগে নিজেদের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শ্রীলংকার ছুঁড়ে দেয়া ২৬৪ রানের টার্গেট ৮ ওভার বাকী রেখেই স্পর্শ করে ফেলে টাইগাররা। 

গুয়াহাটিতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামা শ্রীলঙ্কাকে ৫৫ বলে ৬৪ রানের সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল পেরেরা। দশম ওভারের দ্বিতীয় বলে কাঁধের ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছাড়েন ৩৪ রান করা পেরেরা।

কুশল মেন্ডিসকে নিয়ে দলের রান ১শ’ পার করেন নিশাঙ্কা। মেন্ডিসকে ২২ রানে থামিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন স্পিনার নাসুম আহমেদ। এরপর দলীয় ১৬৪ রানের মধ্যে শ্রীলঙ্কার আরও ৩ উইকেট তুলে নেন স্পিনার মাহেদি হাসান। সাদিরা সামারাবিক্রমা ২, নিশাঙ্কা ৬৮ ও চারিথ আসালঙ্কা ১৮ রান করে মাহেদির শিকার হন।

দলীয় ১৭৭ রানে অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে ৩ রানে শিকার করে শ্রীলঙ্কাকে চাপে ফেলেন পেসার শরিফুল ইসলাম। এ অবস্থায় লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের নিয়ে ছোট ছোট জুটি গড়ে দলকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।

৫৫ রানের ইনিংস খেলে এ ম্যাচে বাংলাদেশের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের শিকার হন ধনাঞ্জয়া। শেষ পর্যন্ত ৫ বল বাকী থাকতে ২৬৩ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা।

বাংলাদেশের পক্ষে মাহেদি হাসান ৩৬ রানে ৩টি, তানজিম হাসান সাকিব-শরিফুল-নাসুম ও মিরাজ ১টি করে উইকেট নেন।

জবাবে ২৬৪ রানের টার্গেটে উড়ন্ত সূচনা করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও লিটন দাস। ১২৬ বলে ১৩১ রান যোগ করেন তারা। জুটিতে ১০টি চারে ৫৬ বলে ৬১ রান করে ফিরেন লিটন।

দ্বিতীয় উইকেটে তানজিদের সাথে রানের চাকা সচল রাখেন তিন নম্বরে নামা মিরাজ। সেঞ্চুরির সম্ভাবনা জাগিয়ে ৮৪ রানে আউট হন তানজিদ। ৮৮ বল খেলে ১০টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন তিনি।

তানজিদের বিদায়ে ক্রিজে এসে প্রথম বলেই তাওহিদ হৃদয় আউট হলে ১৮৮ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেটে ৭৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন মিরাজ ও মুশফিকুর রহিম। 

৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬৪ বলে অনবদ্য ৬৭ রান করেন মিরাজ। ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৪৩ বল খেলে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন মুশফিক।

আগামী ২ অক্টোবর একই ভেন্যুতে নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতিমূলক ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। পক্ষান্তরে,৩ অক্টোবর আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলবে শ্রীলঙ্কা।

আগামী ৫ অক্টোবর ভারতে শুরু হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ।

এএইচ