ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

বাঁধ ভেঙ্গে বন্যার কবলে নওগাঁ (ভিডিও)

প্রতিনিধিদের খবর

প্রকাশিত : ১১:০৪ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ শনিবার

প্রতি বছরের মত এবারও বাঁধ ভেঙ্গে বন্যার কবলে নওগাঁ। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাঙার আগেই জনপ্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হলেও সাড়া মেলেনি। বাধ ভাঙার জন্য অনেকেই অপরিকল্পিত বালু উত্তোলনকে দায়ী করছেন। এদিকে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের করতোয়ার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ধ্বসে গেছে ২ কিলোমিটার বাঁধ। 

এই চিত্র উপজেলার ভবানিপুরের ফসলের মাঠ। উপরটা দেখে নদী কিংবা বিল মনে হলেও আসলে তা নয়। বানের পানিতে তলিয়ে আছে সবুজ ফসল। উপজেলার আন্দারকোটার চিত্রও একইরকম। কয়েকশ’ হেক্টর জমির ফসল আর পুকুর তলিয়েছে বন্যার জলে। 

এরকম চিত্র এখন নওগাঁর তিন উপজেলা জুড়ে। বন্যায় স্বপ্ন ভেঙ্গেছে বহু মানুষের। ভেসে গেছে পুকুর। নিঃস্ব হয়েছেন বহু নতুন উদ্যোক্তা।   

এটি আত্রাই নদীর কাশিয়াবাড়ি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। স্থানীয়দের অভিযোগ, ভেঙ্গে যাওয়ার আগের দিন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানিয়েছিলেন তারা। কিন্তু সাড়া মেলেনি। 

এলাকাবাসীরা জানান, পানি উন্নয়নের লোক এসেছিল, তাদেরকে বলার পর তারা জানায় এর জন্য কোনো বরাদ্দ নেই।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বছর ব্যাপীই বাঁধ পরিচর্যায় দেখা মেলেনা কারও। ভাঙ্গনের পর ভিড় করেন সবাই। আবার নামে-বেনামে অসংখ্য বালুমহাল থেকে বালু উত্তোলন করেন প্রভাবশালীরা।

ভুক্তভোগীরা জানান, এখন আমাদের থাকা-খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। কিছুই ঘর থেকে বের করতে পারিনি, চাল-ডাল যা কিছু ছিল সবই চলে গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভাঙ্গার আগ পর্যন্ত মেরামতের প্রয়োজন পড়েনি। 

স্থানীয় মেম্বার শেফালী খাতুন বলেন, “তিন-চার দিন ধরে এখানেই আছি।”

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের  উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিঠুন কুমার মণ্ডল বলেন, “খবর পেয়ে আমরা এখানে চলে এসেছি।”

নওগাঁ কৃষি বিভাগের তথ্য বলছে, এখন পর্যন্ত ৬৯৩ হেক্টর ফসলি জমি তলিয়ে গেছে।

এদিকে, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের করতোয়া নদীর পানি বাড়ছে। পানির তোড়ে পলাশবাড়ির চেরেঙ্গা এলাকায় ধ্বসে গেছে ২ কিলোমিটার বাঁধ। এছাড়াও গোবিগঞ্জের মহিমাগঞ্জে বোচাদহ বাঁধেও দেখা দিয়েছে ধ্বস। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড ধ্বসে যাওয়া বাঁধ মেরামত শুরু করেছে। 

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড উপ সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, “পর্যাপ্ত পরিমাণে চেষ্টা চলছে। বালু পাওয়া গেলে ভাঙন রোধ করা যাবে।”

দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো সংস্কার ও রক্ষাণাবেক্ষণের দাবি স্থানীয়দের।   

এএইচ