পূর্বাচলে মেট্রোরেল নির্মাণে ভাঙতে হবে না এক্সপ্রেসওয়ে (ভিডিও)
মুহাম্মদ নূরননবী
প্রকাশিত : ০১:৪৬ পিএম, ২ অক্টোবর ২০২৩ সোমবার
পূর্বাচলে মেট্রোরেল নির্মাণে এক্সপ্রেসওয়ের কংক্রিটের স্থাপনা আর ভাঙতে হবে না। নকশার কিছুটা পরিবর্তন করে সংকট সমাধানের একটি পথ পেয়েছে কারিগরি কমিটি। তারপরও, নির্মাণ কাজ চলার সময় বাড়তি সর্তকর্তা জরুরি বলেই মনে করে এক্সপ্রেসওয়ের তদারকিতে থাকা রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-রাজউক।
দেশের প্রথম পাতাল-উড়াল সমেত মেট্রো এমআরটি লাইন-ওয়ান। এর দুটি রুটের প্রথমটি কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দকে যুক্ত করবে। যেটা যাবে মাটির তলদিয়ে। আর পূর্বাচল রুটটি-নতুন বাজার থেকে পিতলগঞ্জ পর্যন্ত উড়াল। এটি এক্সপ্রেসওয়ে দিয়েই যাবে।
যদিও শুরু থেকে রাজউক এটিকে পাতাল করার অনুরোধ করে আসছে। তবে উন্নয়ন সহযোগি জাইকার সাথে চুক্তি হয়ে যাওয়ায় চাইলেও সম্ভব নয়।
এক্সপ্রেসওয়ে ও এমআরটি লাইন-ওয়ানের কাজ শুরু থেকে সমন্বয়ের মাধ্যমে করে আসছিল সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু এক পর্যায়ে যে কিছু কিছু আন্ডারপাস স্প্যান এবং খুঁটি বসানোর কারণে ভাঙতে হতে পারে। সেটারও সমাধান তারা খুঁজে বের করেছেন। তারা বলেছেন স্প্যানের দৈর্য্য যদি বাড়িয়ে দেওয়া যায় তাহলে অহেতুক এই বাড়তি খরচা আর করতে হচ্ছে না রাষ্ট্রকে।
ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পনি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বলেন, “নীচে দিয়ে গেছে উপর দিয়ে ওনারা দুই পাড়ের একটা সংযোগ স্থাপন করেছেন। বড় বড় লং স্প্যানের ব্রীজ করার সক্ষমতা আমাদের আছে। ওই জায়গাগুলোতে এভাবে লং স্প্যান তৈরি করে যাব। ইতিমধ্যে ৯০ মিটার পর্যন্ত করেছি, ওই অংশে একটা সম্ভবত ১২০ মিটার করতে হবে।”
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, “এটা সমাধান হবে, আমাদের টিম এবং মেট্রোরেলের টেকনিক্যাল টিম এটা নিয়ে কাজ করছে।”
ভায়াডাক্ট নির্মাণে সড়কটির মাঝ বরাবর ৫ মিটারের সড়ক বিভাজকের ফাঁকা অংশ রাখা আছে। কিন্তু শঙ্কা জায়গাটা হলো নির্মাণকাজ তো করতে হবে, ভারি ভারি যন্ত্রপাতিতে রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আবার ৭টি স্টেশন প্লাজা নির্মাণে অনেক প্লট নষ্ট করতে হবে মনে করছে রাজউক।
এম এ এন সিদ্দিক বলেন, “৫ মিটার জায়গার ভেতরে আমরা দেড় মিটার বাই দেড় মিটার পিআর বসাবো।”
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ প্রধান প্রকৌশলী উজ্জ্বল মল্লিক বলেন, “অনেক বড় সড়ক কাজেই একটা লেনের সমস্যা হবে। যেখানে কাজ চলবে। কেননা মধ্যস্থান দিয়ে মেট্রোরেলটা যাবে।”
আশা ছাড়েনি রাজউক। যদি কোনভাবে পূর্বাচল রুটটিও পাতাল করা যায় তাহলে এক্সপ্রেসওয়েটি যেমন সুরক্ষিত হবে তেমনি আর্থিক সাশ্রয়ও হবে।
এএইচ