সহিংসতা কঠোর হাতে দমনের হুশিয়ারী ডিএমপি কমিশনারের
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:৩৯ পিএম, ২ অক্টোবর ২০২৩ সোমবার | আপডেট: ০২:৪৩ পিএম, ২ অক্টোবর ২০২৩ সোমবার
জাতীয় নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত ডিএমপি। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অস্ত্রের ঝনঝনানি ও সহিংসতা কঠোর হাতে দমন করার হুশিয়ারী দিয়েছেন নবনিযুক্ত ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি নিয়ে মোটেও উদ্বিগ্ন নয় পুলিশ।
পহেলা অক্টোবর ৩৭তম ডিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন হাবিবুর রহমান। তিনি আজ সোমবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
সেসময় রাজধানী ঢাকার নিরাপত্তা, পুলিশি ভোগান্তি ও যানজটসহ বিভিন্ন সমস্যা চিহ্নিত ও সমাধানের আশ্বাস দেন নবনিযুক্ত ডিএমপি কমিশনার।
হাবিবুর রহমান বলেছেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনে অবৈধ অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ করা গুরুত্বপূর্ণ। দেশে আদালত, বিচারিক প্রক্রিয়া আছে। যেসব অপরাধী জেল থেকে বের হচ্ছে তাদের কঠোর মনিটরিং করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপরাধী ছোট হোক বড় হোক, কাউকে ছাড় নয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি পুলিশ বাহিনীতে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানান ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ডিএমপির প্রতিটি সদস্য কাজ করে যাচ্ছে। আমি যোগদানের পর থেকে ভিসা নীতির বিষয়ে তাদের মধ্যে কোনও আতঙ্ক দেখতে পাইনি।’
অনুমতি ছাড়া রাজধানীতে সভা-সমাবেশের সুযোগ নেই জানিয়ে আইনের ব্যত্যয় ঘটালে কঠোর ব্যবস্থার হুশিয়ারী দেন ডিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, এই শহরকে নিরাপদ ঢাকা, বেটার ঢাকা গড়ার লড়াই চালিয়ে যাবো। ঢাকাকে আইনশৃঙ্খলা, জনশৃঙ্খলার দিক দিয়ে একটি নিরাপদ ও শক্তিশালী শহর হিসেবে গড়তে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। এ জন্য সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, পুলিশের কোনো সদস্য অপরাধে জড়ালে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে যদি কোনও অপরাধ থেকে থাকে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে যতটুকু অপরাধ করবে তাদের সে অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হবে।’
টাস্কফোর্স গঠন করে ছিনতাই নির্মূল, সড়কের সিগনাল বাতি সচলসহ বেশ কিছু সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে অপরাধের গতিধারাও পরিবর্তন হয়েছে। সব বিষয় পর্যালোচনা করে পুলিশ কাজ করছে। ২ কোটি ২৪ লাখ মানুষের জন্য ৩৪ হাজার পুলিশ সদস্য রয়েছে; যা নিতান্তই কম। তারপরও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ।’
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) ড. খ. মহিদ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহা. আশরাফুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এএইচ