রপ্তানিতে নতুন দুয়ার আতর, মিলিয়ন ডলার আয় নারীর (ভিডিও)
বিকুল চক্রবর্তী, মৌলভীবাজার থেকে
প্রকাশিত : ০৩:১৯ পিএম, ৩ অক্টোবর ২০২৩ মঙ্গলবার
রপ্তানির নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে মৌলভীবাজারের আগর আতর শিল্প। এরই মধ্যে এই আতর রপ্তানি করে এক মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন এক নারী উদ্যোক্তা। তবে সম্ভাবনাময় এই শিল্পের জন্য এখানে গড়ে উঠেনি প্রক্রিয়াজাত কারখানা।
মৌলবীবাজারে বিসিক শিল্প নগরীতে এই কারখানায় আগর থেকে হচ্ছে আতর।
উদ্যোক্তা জুলিয়ানা হারদার অপু জানালেন, তিন মাসে এই আতর রপ্তানি করে এক মিলিয়ন ডলার আয় করেছেন তিনি।
আগর-আতর শিল্প উদ্যোক্তা জুলিয়ানা হারদার অপু বলেন, “এই সেক্টর থেকে বিদেশি ডলার দেশে আসছে। দেশের জন্য কিছু করতে পারছি, ভালো লাগছে।”
নারী নেত্রী সানজিদা বলেন, “প্রকৃতির এই উপাদান কাজে লাগানোর জন্য ব্যক্তি উদ্যোগের সাথে সরকারেরও এগিয়ে আসা উচিত।”
তবে এই সফল্য দেখাতে পারছেনা অন্য উদ্যোক্তারা। এরজন্য পুঁজির সঙ্কটসহ অবকাঠামোগত সুবিধা না থাকার কথা বলছেন তারা।
আগর-আতর ম্যানুফেকচারার এন্ড এক্সপোর্টার এসোসিয়েশন সভাপতি আনসারুল হক বলেন, “ফ্যাক্টরি বাড়লে আতর বেশি উৎপন্ন হবে। কিন্তু গ্যাস নাই। দুবাই, সৌদি, ওমান- আরবের দেশগুলোতে ম্যানুফ্যাকচার হয়। এই ম্যানুফ্যাকচার যদি হয় আমাদের দেশে হয় তাহলে কোটি কোটি টাকা রেমিট্যান্স আসবে।”
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আগর আরত রপ্তানি হচ্ছে। তবে মৌলভীবাজারে আগর-আতর শিল্প পার্ক স্থাপনে সরকারি সিদ্ধান্ত এখনো আলোর মুখ দেখেনি।
আগর-আতর ম্যানুফেকচারার এন্ড এক্সপোর্টার এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ বলেন, “সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যাতে আরও বিনিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়।”
গ্যাস সংযোগ না থাকা আর আধুনিক প্রযুক্তির অভাবে আরগ থেকে উৎপন্ন করা যাচ্ছে না সুগন্ধি। পর্যাপ্ত মূলধনের অভাবে নতুন প্রযুক্তি অনেকেই ব্যবহার করতে পারছেনা।
একাধিক ব্যবসায়ী জানান, আমাদের বড় সমস্যা অর্থের। ব্যাংক যদি অল্প সুদে একটা ফান্ড দেয় তাহলে এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
বড়লেখায় ব্যক্তি উদ্যোগ ছাড়াও বন বিভাগের আগর বাগান রয়েছে। আর আতর তৈরির নিবন্ধিত কারখানা রয়েছে ১৭৬টি।
এএইচ