ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

জাতির পিতার স্পর্শের বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্যভাবনা

অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ​​​​​​​

প্রকাশিত : ০৪:১৬ পিএম, ৮ অক্টোবর ২০২৩ রবিবার | আপডেট: ০৪:১৭ পিএম, ৮ অক্টোবর ২০২৩ রবিবার

চিকিৎসার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কোলকাতা যাওয়ার প্রয়োজন হয়েছিল। এই ঘটনা বঙ্গবন্ধুর মধ্যে দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে উন্নত করার জন্য এক ধরনের প্রভাবক হিসেবে কাজ করে। দেশের মানুষের জন্য কিভাবে চিকিৎসা সেবা আরও উন্নত ও সহজলভ্য করা যায় এই ভাবনা জীবনের শেষ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর মধ্যে বিদ্যমান ছিল। স্বাধীনতার পর দেশ পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপ। দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থা খুব খারাপ। বাজেট কম, তারপরও বঙ্গবন্ধু আরও নতুন মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।

মেডিকেল আন্ডারগ্রাজুয়েট ও পোষ্টগ্রাজুয়েট শিক্ষার মাধ্যমে দেশের ডাক্তার সংকট নিরসনের প্রচেষ্টা চালান। এফ আর সি এস শেষ করা বহু ডাক্তার বিদেশ ছিল তাদেরকে দেশে ডেকে আনেন। তখন স্বদেশে তারা চিকিৎসা সেবা শুরু করেন। সদ্য স্বাধীন দেশে যা যা করনীয় বঙ্গবন্ধু তাই করলেন। শিক্ষা, সেবা, পুষ্টি, প্রিভেনশন অব ব্লাইন্ডনেস কার্যক্রমের জন্য RCSB এর মাধ্যমে ব্যবস্থা করেন। তিনি ই পি আই প্রোগ্রাম চালু করেন। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনসংখ্যা বৃদ্ধি রোধ করতে ১৯৭৩ সালে পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে বিশেষ দিক নির্দেশনা দেন এবং অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করেন। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই খাতে কিছুটা বাস্তববাদী পরিবর্তন আনতে দেশের স্বাস্থ্য খাতের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। ১৯৭২-১৯৭৫ সময়কালে বঙ্গবন্ধু তাদের দ্রুত সুস্থতার জন্য আহত মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে প্রথম পদক্ষেপ নিয়েছিলেন। 

বঙ্গবন্ধু গুরুতর আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য হাজার হাজার আহত মুক্তিযোদ্ধাকে পূর্ব জার্মানি, তৎকালিন সোভিয়েত ইউনিয়ন (বর্তমানে রাশিয়া), ভারত, চেকোস্লোভাকিয়া এবং ফ্রান্সে প্রেরণ করেছিলেন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের ঔষধের বিশাল সংকট ছিল এবং এটি সাধারন মানুষের চিকিৎসা ও তাদের ঔষধ বিনামূল্যে দেওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা ছিল। এরপরে বঙ্গবন্ধু দেশের চাহিদা মেটাতে বিদেশ থেকে ঔষধ আমদানির জন্য বাংলাদেশ ট্রেডিং কর্পোরেশন (টিসিবি)কে নির্দেশনা দিয়েছিলেন। 

তিনি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর আসল চাহিদা অনুযায়ী ঔষধগুলো যথাযথভাবে বিতরণের জন্য আমদানি করা ঔষধগুলি তাৎকালীন মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশনের কাধে হস্তান্তর করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে ঔষধ উৎপাদনে পরিবর্তন এনেছিলেন। সর্বাধিক ঔষুধগুলি তখন কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানির দ্বারা উৎপাদিত করা হত, যা ব্যয় বহুল ছিল এবং চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করা মানুষের পক্ষে সাশ্রয়ী ছিল না। তিনি ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থাগুলিকে বহুজাতিক সংস্থার সব ধরনের ঔষধ উৎপাদন করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছিলেন। ১৯৭৪ সালে তিনি বাংলাদেশ স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি ইনস্টিটিউট এবং স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কোর্স চালু করেন।

বঙ্গবন্ধু প্রত্যেক থানায় থানায় হেলথ কমপ্লেক্স করার ব্যবস্থা নিলেন। সে সময় তিনি ১৩৮টা হেলথ কমপ্লেক্স করতে পেরেছিলেন নিপসমের ওখানে আই পি এইচ ইন্সটিউট অব পাবলিক হেলথ, ইন্সটিউট অব নিউট্রিশিয়ান স্থাপন করলেন। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, পুষ্টি, স্বাস্থ্য প্রত্যেক মানুষের দোড়গোড়ায় যেন পৌঁছে দেয়া যায় সেই ব্যবস্থা করলেন।

বঙ্গবন্ধু দেশের পুষ্টি চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে পুষ্টিনীতি প্রনয়ন করেন। বঙ্গবন্ধ গবেষণার জন্য বি এম আর সি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর করার পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন। বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল বি এম ডি সি প্রতিষ্ঠিত করলেন। বঙ্গবন্ধু, জনবল তৈরির জন্য নার্স ডাক্তার সেবা মিডওয়াইফার তৈরি জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। কলেরা হাসপাতাল আই সি ডি ডি আর বি প্রতিষ্ঠা করলেন ও আইডিসিএইচ হাসপাতাল তৈরি করেন। সারাদেশে তখন মাত্র ৬৭টি হাসপাতাল ছিল তিনি ৩৭৫টি থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তৈরি করেন যার শয্যাসংখ্যা ছিল প্রতিটিতে ৩১টি। 

স্বাধীনতা উত্তরকালে বঙ্গবন্ধুর সরকারই প্রথম এ দেশের পল্লী অঞ্চলের সাধারণ মেহনতি মানুষের স্বাস্থ্য সেবার কথা বিবেচনা করে চিকিৎসা সেবাকে থানা পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চালু করেন, চিকিৎসকদের সরকারী চাকরিতে সম্মান ও মর্যাদার কথা বিবেচনা করে চিকিৎসকদের পদমর্যাদা দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে প্রথম শ্রেণীতে উন্নীত করেছিলেন যা দেশের চিকিৎসক সমাজ চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে। মেডিক্যাল উচ্চ শিক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু শাহবাগ হোটেলকে আই পি জি এম আর এ উন্নীত করেন। ১৯৭২ সালে অধ্যাদেশের মাধ্যমে স্নাতকোত্তর ডিগ্রির জন্য বাংলাদেশ কলেজ অফ ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জারী (বিসিপিএস) প্রতিষ্ঠা করেন।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি কারাগার থেকে মুক্তিলাভ করে স্বাধীন দেশের মাটিতে প্রথম যে অনুষ্ঠানে যোগদান করেন তা আজ থেকে ৫১ বছর পূর্বে ১৯৭২ সালের ৮ই অক্টোবর তৎকালীন ওচএগজ এর অ ব্লকের দোতলায় “কেন্দ্রীয় রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র’’টির উদ্বোধন। বর্তমানে যেটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগ নামে পরিচিত।

তিনি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে প্রথমে যে কথাটি বললেন তা হলো-যে রক্ত সংরক্ষণ কেন্দ্র আপনারা খুলেছেন, এটা অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। গবেষণার দিক দিয়ে এর অত্যন্ত গুরুত্ব রয়েছে। দেশের অবস্থা সম্পর্কে আপনারা যানেন। আপনাদের অবস্থা কি? স্বাধীনতা সংগ্রামে বিভিন্ন স্তরের লোকজন জীবন দিয়েছেন। এ পর্যন্ত যে নাম আমরা পেয়েছি, তাতে ৫০ জন ডাক্তার শহীদ হয়েছেন (পরবর্তীতে এর সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৪)। এতো জন ডাক্তার তৈরি করতে কী লাগে, তা আপনারা জানেন।

সারা দুনিয়ার ইতিহাসে দেখা যায়, যুদ্ধক্ষেত্রে ডাক্তারদের হত্যা করা হয় না। ডাক্তারদের অন্য একটা মর্যাদা আছে। দুই দেশের যখন যুদ্ধ হয় তখন ডাক্তারদের যদি গ্রেফতার করা হয়, তখন তাদের সংগে খারাপ ব্যবহার করা হয় না, তাদের হত্যা করা হয় না। কিন্তু পাকিস্তানী নরপশুরা এত বড় পশু যে, আমার ডাক্তারদেরকে তারা হত্যা করেছে। আমি অধ্যাপক নুরুল ইসলামকে বলেছি, যে ডাক্তারের লিস্ট পাওয়া গেছে পিজি হাসপাতালের দরজার কাছে এই ডাক্তারদের নামগুলো ইতিহাস স্বরুপ লেখা রাখুন। প্রত্যেক ডাক্তার যেন দেখে যে, স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের দান কতখানি। তাহলে বোধহয় দেশের জনগনের প্রতি তাদের দরদ বাড়বে।

আমাদের একটা ইনস্টিটিউটের বিশেষ প্রয়োজন ছিল। আমি নিজে অন্যান্য দেশে দেখেছি। আপনার সেটা করেছেন। এটা নিয়ে জাতি গৌরববোধ করতে পারে। যদি আরো কিছু প্রয়োজন হয় সরকার নিশ্চয়ই সেদিকে নজর রাখবেন। কিন্তু শুধু পয়সা দিয়ে কিছু হয়না, সেটা আপনার বোঝেন। পয়সার সাথে সাথে যেটা দরকার সেটা হলো মানবতাবোধ। আমরা যেন মানবতাবোধ হারিয়ে ফেলেছি। আমি কুমিল্লায় জনসভায় বলেছিলাম, শেখ মুজিবুর রহমানকে বেটে খাওয়ালেও সোনার বাংলা গড়তে পারবেন না। যদি সোনার মানুষ গড়তে না পারেন। আমি যেন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছি আপনাদের কাছে বলতে গেলে যে, যেদিকেই আমি চাই, সেদিকেই যেন দেখি মানুষ এত নিচু হয় কি করে? মানুষ মানুষের পয়সা খায় কি করে? মানুষ গরিব-দুঃখীর কাছ থেকে কি করে লুট করে? আমি বুঝতে পারি না।

এত রক্ত! ৩০ লক্ষ লোকের জীবন! এত শহীদ! এত মায়ের আর্তনাদ! এত শিশুর আর্তনাদ! এত বাপ-মার ক্রন্দন! দেয়ালে দেয়ালে রক্তের লেখা। রাস্তায় রাস্তায় রক্তের স্বাক্ষর। আর সেইখানে বসে, তাদেরই টাকায় সরকারী কর্মচারীরা যদি পয়সা খায়, তাদের নিয়ে ছিনিমিনি খেলে, এই দুঃখ বলবার জায়গা কোথায় আছে, আমাকে বুঝায়ে বলেন। আইন দিয়ে তো এইটা করা যায় না। এই জন্য মানুষের হৃদয়ের পরিবর্তন দরকার, মনের পরিবর্তন দরকার, মাতবতাবোধ জাগ্রত হওয়া দরকার। 

বড় ডাক্তার যারা আছেন, যারা স্পেশালিস্ট আছেন, তারা গ্রামের দিকে কেন যেতে চান না? গ্রামেতো শতকরা ৯৫ জন বাস করে। তারাইতো সম্পদ দিয়ে আমাদের সবকিছু করেছেন। নতুন নতুন শহর দেখেন, আপনাদের দোতলা অফিস দেখেন, মেডিকেলের পোস্টগ্রাজুয়েট দেখেন, যেখানেই যান সবকিছুইতো এই বাংলাদেশের দুঃখী মানুষের পয়সায়। তাদের দিকে কেন নজর দিবেন না? সাদা পোষাকের কোন লোক দেখলে আপনার তারাতারি দরজা খুলে দেন আর গরীব, দুঃখী কোন লোক আসলে চিৎকার করে বাইরে বসতে বলেন কেন? এই মনোভাবের পরিবর্তন আনতে হবে। এটা এখন আমদের জাতীয় চরিত্র হয়ে গেছে।

দেশের জনগণ ব্লাড দিতে কোন দিন কৃপণতা করে নাই। গত আন্দোলনের সময় আমি জেলে যাওয়ার আগে যখন বলেছিলাম ব্লাডের দরকার। বাংলাদেশের মানুষ লাইন ধরে ব্লাড দিয়েছিল। রক্ত আপনারা পাবেন। রক্ত বাংলার মানুষ দেয়। গুলি খেয়েও রক্ত দেয়, আবার অন্যকে বাঁচাবার জন্যও বাংলার মানুষ রক্ত দেয়। কিন্তু রক্তের সদ্ব্যবহার হওয়াই দরকার এবং সেটা যদি হয় নিশ্চয় ডাক্তার সাহেব রক্তের অভাব হবে না।

বিদেশে আমাদের অনেক ডাক্তার ও প্রফেসরের সাথে আমার দেখা হয়েছে। আমাকে দেখতে এসেছিলেন তাঁরা। ডাক্তার নুরুল ইসলামের সামনে তাঁদের বলেছি, আপনারা সবাই দেশে ফিরে আসুন। দেশ আপনাদের, দেশ আপনাদের দাবি করতে পারে। কারণ যে মেডিকেলে পড়েছেন, সে মেডিকেল কলেজগুলিতে জনগনের টাকা থেকে আপনাদের সাহায্য করা হয়েছে। আর আপনারা লেখাপড়া শিখে বিদেশে গিয়ে বড় ডিগ্রি নিয়ে সেখানেই বেশি টাকা উপার্জন করতে চান সেটা বড় অন্যায়। কারণ আপনারা যে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন, তার পিছনে যে অর্থ ব্যয় করা হয়েছে তা এ দেশের দুঃখী মানুষের ট্যাক্সের থেকে।

আমাদের নার্সিং যেন আমাদের সমাজের জন্যে একটা অসম্মানজনক পেশা। আমি বুঝতে পারি না এ সমাজ কিভাবে বাঁচবে। একটা মেয়ে দেশের খাতিরে নার্সের কাজ করছে, তার সম্মান হবে না। আমি ডাক্তার সাহেবদের সংগে পরামর্শ করেছিলাম যে, আপনারা আমাকে একটা কর্মসূচি দেন যাতে গ্রাজুয়েট মেয়েরাও এখানে আসতে পারে। তাদের আসতে হবে সেবার মনোবৃত্তি নিয়ে। আপনারা ডাক্তার যাঁরা আছেন, তাদের অনেকেইতো বিদেশে ঘুরে এসেছেন। বিদেশে যা শিখে এসেছেন তা আমাদের দেশে কেন চালু করেন না। এখানে আসলে আপনারা মনে করেন যে, আপনারা বড় ডাক্তার সাহেব হয়ে গেছেন ও নার্সরা কিছুই না। কিন্তু ওখানে ডাক্তার নার্সের সংগে কথা বলতে গেলে সমীহ করে কথা বলে। ইজ্জতের সংগে কথা বলে। যে কাজই করুক না কেন সে কাজের জন্য তার সম্মান আছে। 

এছাড়া তিনি ওয়ার্ড বয়, ক্লিনার এবং সুইপারদের কাজের কথাও উল্লেখ করেন। তাদেরও মানসম্মান দিয়ে সবার কথা বলা উচিত। কারণ সবাই সেবক। সবার সম্মিলিত কাজ ব্যতিত উন্নত সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। শুধু নিজেদের পেটের তাগিদে তারা কাজ করে না, সমাজের প্রয়োজনেও তারা কাজ করে।

যারা বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ধারণ করে, তাদের মাঝেই জাতির জনক বেঁচে থাকবেন জন্ম থেকে জন্মান্তরে।

লেখক: ভাইস চ্যান্সেলর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় শাহবাগ, ঢাকা।

এএইচ