ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

চিনি আমদানিতে এস. আলম গ্রুপের  ১৭ শ কোটি টাকা বিনিয়োগ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৭:৩২ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২৩ মঙ্গলবার

দেশে চিনির বার্ষিক চাহিদা প্রায় ১৮ লাখ মেট্রিক টন। এই তুলনায় অভ্যন্তরীণ উৎপাদন সক্ষমতা কম। বাজার স্থিতিশীল রাখতে চলতি বছর চিনি আমদানিতে ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ করেছে এস আলম গ্রুপ। 

বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন-বিএসএফআইসিয়ের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা মাত্র প্রায় ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৮০ টন। তবে চলতি মৌসুমে উৎপাদন ক্ষমতার মাত্র প্রায় ১৬ শতাংশ বা ২১ হাজার ৩১৩ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করতে পেরেছে সংস্থাটি, যা মোট চাহিদার দেড় শতাংশের কম। 

এই বিপুল পরিমাণে চাহিদা ঘাটতি মেটাতে অবদান রাখছে দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ। কোম্পানিটি ২০২৩ সালে প্রায় ৩ লাখ ২৪ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন চিনি আমদানি করেছে, যার বাজার মূল্য প্রায় ১৬ কোটি ১০ লাখ ৫৩ হাজার মার্কিন ডলার বা ১ হাজার ৭৭২ কোটি টাকারও বেশি। 

এ ছাড়া, এস আলম গ্রুপ ২০২২ সালে প্রায় ৩ লাখ ৬৫ হাজার মেট্রিক টন চিনি আমদানি করে, যার বাজার মূল্য প্রায় ১৭ কোটি ৫৪ লাখ মার্কিন ডলার বা ১ হাজার ৯৩১ কোটি টাকারও বেশি, কোম্পানিটি ২০২১ সালেও প্রায় সমমূল্যে ৩ লাখ ৬৭ হাজার মেট্রিক টন চিনি আমদানি করেছে। বিগত তিন বছরে এস আলম গ্রুপের চিনি আমদানির পরিমাণ ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৫০০ মেট্রিক টনের বেশি, যার আর্থিক বাজার মূল্য প্রায় ৫১ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার বা ৫ হাজার ৬৩৫ কোটি টাকারও বেশি। বর্তমান চিনির দেশীয় বাজারে আমদানি চাহিদার ৩৫ শতাংশ পূরণ করে থাকে এস আলম গ্রুপ, যা ভবিষ্যতে ৪০ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। 

এ বিষয়ে এস আলম গ্রুপ থেকে বলা হয়, ‘আমাদের খাদ্যাভ্যাস ও জীবন-রীতির কারণে চিনির ব্যবহার সর্বত্র। ভোক্তাদের মধ্যে বিপুল চাহিদা থাকলেও অভ্যন্তরীণভাবে চিনির উৎপাদন খুব বেশি নেই। তাই চাহিদা মেটাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে চিনি ভারত, ব্রাজিলসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করতে হয়।’

এমএম//