ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

বাজার অস্থির করলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি ডিএমপির

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০২:৪৩ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০২৩ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৩:৩৬ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০২৩ বৃহস্পতিবার

কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে। আর ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট তৈরি করেই এই কাজটি করছেন। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার পরিস্থিতি ও আইন-শৃংখলা সংক্রান্ত বিশেষ সভায় এসব কথা উঠে আসে। এসময় পণ্য পরিবহনে সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে জিরো টলারেন্সের পাশাপাশি বাজারকে অস্থির করলেই কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দেন ডিএমপি কমিশনার।

বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির হেডকোয়ার্টারের সম্মেলন কক্ষে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বিশেষ সভায় এমন হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, যারাই সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াবে সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা মিলে সমন্বিতভাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসময় ব্যবসায়ীরা বলেন, নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রান্তিক পর্যায় থেকে খুচরা বাজার পর্যন্ত মনিটরিং করতে হবে। ঢাকার বাইরে থেকে কাঁচামাল আসতে যাতে কোনো বাধা না আসে, চাঁদাবাজি না হয়, সেদিকেও তদারকি বাড়ানোর আহবান জানান ব্যবসায়ীরা।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, আগে রাস্তায় পণ্যবাহী গাড়িতে চাঁদাবাজির দৃশ্য দেখা যেত। বর্তমানে রাস্তায় কোনো হয়রানি বা চাঁদাবাজি দেখা যায় না। তারপরও কেউ অভিযোগ করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মধ্যস্বত্বভোগীরা দাম বাড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি। আর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বলছে, প্রতিযোগিতামূলক বাজার সৃষ্টিতে খুচরা-পাইকারি কোনো ব্যবসায়ীরাই ভূমিকা রাখছে না। আর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাজার সমিতিগুলো তাদের দায়িত্ব ঠিক মতো পালন করছে না বলেই দাম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, যারা বাজার অস্থিতিশীল করতে কাজ করছে, সেই সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে। আর যে কোনো সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়ার জন্য ডিএমপি সক্ষম। আমরা সর্বোচ্চ পর্যায়ে কাজ করব।

নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান সংশ্লিষ্টরা।  

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য পরিস্থিতি ও আইন-শৃংখলা সংক্রান্ত বিশেষ সভার আয়োজন করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপি। অংশ নেন বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ী, সিটি কর্পোরেশন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিরা।

এএইচ