বিচারকের একমাসের কারাদণ্ড, পরে জামিন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:৩৩ পিএম, ১২ অক্টোবর ২০২৩ বৃহস্পতিবার
আদালত অবমাননার দায়ে কুমিল্লার সাবেক চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সোহেল রানাকে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি তাকে পাচঁ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রায় দেওয়ার ৩ ঘণ্টার মাথায় তাকে জামিন দিলেন হাইকোর্ট।
সাজার বিরুদ্ধে আপিল করার শর্তে তাকে এক মাসের জামিন আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একই বেঞ্চ তাকে জামিন প্রদান করেন।
আদালতে জামিনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট শাহ মঞ্জুরুল হক। তিনি বলেন, আপিল করার শর্তে আদালত সোহেল রানাকে ১ মাসের জামিন দিয়েছেন। আমরা আগামী রোববার হাইকোর্টের সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবো।
এর আগে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সোহেল রানাকে সাত দিনের মধ্যে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোহেল রানার পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক সাংবাদিকদের আদালতের আদেশের বিষয়টি জানান। তিনি বলেন, হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও কুমিল্লার তৎকালীন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা গত ১০ এপ্রিল একটি মামলায় অভিযোগ গঠন করেন। পাশাপাশি মামলায় ওই বিচারক একাধিক আদেশও দেন। বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনা হয়।
গত ১৪ আগস্ট হাইকোর্ট এক আদেশে সোহেল রানাকে তলব করেন। উচ্চ আদালতের আদেশ উপেক্ষার বিষয়ে অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গত ২১ আগস্ট তাকে হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়। ধার্য তারিখে তিনি হাইকোর্টে হাজির হন। পরবর্তী সময়ে জবাবও দাখিল করেন। তবে জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় গত ২৮ আগস্ট সোহেল রানার প্রতি স্বতঃপ্রণোদিত আদালত অবমাননার রুল দেন হাইকোর্ট।
আদালত অবমাননার রুলের পর গত ৩১ আগস্ট সোহেল রানা মামলাটির অভিযোগ গঠনের আদেশ প্রত্যাহার করেন। হাইকোর্টের ধার্য তারিখে সোহেল রানা সময়ের আরজি জানান। হাইকোর্ট আজ ১২ অক্টোবর পরবর্তী তারিখ রাখেন।
আদালত অবমাননার রুলের পরিপ্রেক্ষিতে সোহেল রানা নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তবে তার ক্ষমাপ্রার্থনা গ্রহণ না করে হাইকোর্ট আজ কারাদণ্ডের আদেশ দেন বলে জানান শাহ মঞ্জুরুল হক।
সোহেল রানা বর্তমানে আইন মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত জেলা জজ হিসেবে সংযুক্ত আছেন।
এএইচ