সকালে সমসের মেম্বার আটক, বিকালে মুক্তি
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১০:২৯ এএম, ১৬ অক্টোবর ২০২৩ সোমবার
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সমসের আলীকে আটক করে ডিবি পুলিশ। পরে বিকালে ‘শর্ত সাপেক্ষে’ তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
রোববার খুব সকালে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের এই সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় তার অনুসারীরা বাধা দেয়। এসময় ঢাকা মহানগর ডিবি পুলিশের সদস্যদের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে।
সমসের মেম্বারের ভাই মোশারফ হোসেনের অভিযোগ, অভিযানকালে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে; যাতে তিনজন গুলিবিদ্ধ হন।
আহতরা হলেন চনপাড়া এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল খালেক (৫০), ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. রাজু (৩৬) ও আবু সাঈদ (৫৫)।
তাদের মধ্যে খালেক ও রাজু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন এ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।
তবে অভিযানের কথা জানালেও গুলি চালানোর বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশিদ।
ইউপি সদস্য সমসের আলী চনপাড়া ইউনিয়ন (সাংগঠনিক ইউনিয়ন) আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। তার বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি ও মাদকের একাধিক মাদকের মামলা রয়েছে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা হারুন বলেন, “সকালে সমসের মেম্বারকে একটি বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে বিকালে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে ডাকলে তিনি আসবেন এই শর্তে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
গুলি চালানো এবং তিনজন আহতের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) চাইলাউ মারমা বলেন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম সেখানে অভিযান চালিয়েছিল বলে জানতে পেরেছি। সেখানে গুলি চালানোর ঘটনা সম্পর্কেও অবগত হয়েছি। তবে কী কারণে তারা অভিযান চালিয়েছিল সেই বিষয়ে বিস্তারিত এখনও পাইনি। আমরা খোঁজখবর করছি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৬টার দিকে সমসের আলীর বাড়ির সামনে সাদা একটি মাইক্রোবাস এসে থামে। গাড়ি থেকে অস্ত্র হাতে কয়েকজন সাদা পোশাকে নেমে আসেন। তারা কিছুক্ষণ পর সমসেরকে নিয়ে বেরিয়ে আসেন।
খবর পেয়ে সমসেরের অনুসারীরা তার বাড়ির সামনে জড়ো হয় এবং পুলিশকে বাধা দেয়। তখন পুলিশ সদস্যরা তাদের পরিচয় দেন।
এএইচ