ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

নিখোঁজের ৭ দিন পর পুকুরে ভেসে উঠল প্রকৌশলীর মরদেহ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:১৮ এএম, ১৭ অক্টোবর ২০২৩ মঙ্গলবার

কুড়িগ্রাম পৌর শহরের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস অফিসের পেছনের একটি পুকুরে থেকে মাহমুদুল ফেরদৌস মামুন (২৬) নামের এক বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন। 

নিহত প্রকৌশলী রাজারহাট উপজেলার ছিনাইহাট গ্রামের অবসপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছবরুল হকের পুত্র।

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিহত মামুন সবেমাত্র ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্বিবদ্যালয় থেকে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছে। এখনও চাকরিতে যোগ দেয়নি। এর মধ্যে গত ৯ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ হয় মামুন। ওইদিন সন্ধ্যায় মামুন তার বড়ভাই মাহবুবুল ফেরদৌস রতনকে সন্ধ্যা ৬টার দিকে মোবাইল ফোনে জানায় তাঁকে কয়েকজন আটকিয়ে রেখে ৫ হাজার টাকা দাবি করছেন। 

এদিকে নিহতের বড় ভাই বেসরকারি সংস্থা এসডিএফ’র দিনাজপুর জেলা অফিসে মিটিং এ ছিলেন বলে টাকা পাঠাতে পারেননি। পরে তার ভাই টাকা পাঠানোর জন্য তার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে আর যোগাযোগ করতে পারেননি। পরিবারের লোকজনের মাধ্যমে রাজারহাট থানায় জিডি করা হয়।

পরে জিডির সূত্র ধরে পুলিশ গতাকাল রোববার (১৫ অক্টোবর) রাতে ৩ জনকে আটক করলে একটি মামলা রুজু হয়। আটককৃতদের সূত্র ধরে পুলিশ ও পরিবার জানতে পারে আরডিআরএস অফিসের সামনে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সামনে ৯ অক্টোবর সন্ধ্যায় মামুনসহ কয়েকজনের ধস্তাধস্তি হয়। 

পরে দৌড়ে সবাই আরডিআরএস অফিসের ভেতরে প্রবেশ করে। এই সূত্র ধরে পুলিশ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের পাশে মামুনের ছেঁড়া কালো গেঞ্জি পায়। সেকারণে মামুনের খোঁজ নিতে আরডিআরএস’র পেছনের পুকুরে গিয়ে ভাসমান ফুলে ফেঁপে ওঠা লাশ খুঁজে পায় পুলিশ। 

কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন বলেন, নিহত যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে গত ৯ তারিখ রাজারহাট থানায় নিখোঁজ জিডি করা হয়েছিল। তার প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান চালিয়ে ৩ জন আটক করা হয় এবং থানায় মামলা রেকর্ড হয়। এর পরের দিন নিখোঁজ যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।

এএইচ