চিকিৎসক দম্পতির বাড়ির ছাদে বিলুপ্ত প্রজাতির বনসাই বাগান
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১২:০৩ পিএম, ১৭ অক্টোবর ২০২৩ মঙ্গলবার
বাড়ির ছাদে ছাতিম, হিজল, তমাল, অশোক কী নেই! তবে বিরাট বৃক্ষ নয়, এগুলোকে রাখা হয়েছে বনসাই করে। প্রায় হাজার রকম দেশি-বিদেশি বিলুপ্ত প্রজাতির গাছও আছে নারায়ণগঞ্জের এক চিকিৎসক দম্পতির ছাদ বাগানে। তবে সেগুলো বিক্রির জন্য নয়, পরিবেশ বাচাঁনো ও ভবিষৎ প্রজন্মের সাথে পরিচয় ঘটাতে সংরক্ষণ করেছেন তারা।
নারায়ণগঞ্জে সিদ্ধিরগঞ্জের নিমাইকাসারী এলাকায় পাঁচতলা বাড়িতে ছাদবাগান গড়ে তুলেছেন দন্ত চিকিৎসক মাহফুজা আক্তার এলিজা ও তার স্বামী মেডিসিন চিকিৎসক ফয়েজ আহমেদ। ২০১৫ সালের শুরু দিকে তাদের লক্ষ্য ছিল সন্তানদের গাছের সঙ্গে পরিচয় করানো ও সবুজের মধ্য লালন-পালন করা।
তবে সেটি এখন স্থানীয়দের কাছে হয়ে উঠেছে বৃক্ষপ্রর্মী। তাদের দেখাদেখি আশপাশের ভবনের ছাদগুলোতেও গাছবাগান হচ্ছে।
চিকিৎসক দম্পতি জানান, তাদের ছাদ বাগানে বিভিন্ন প্রজাতিগাছসহ হাজারও বনসাই রয়েছে। এর পাশাপাশি নানা ধরনের ফল, ফুলসহ ওধুধী গাছও সংরক্ষণ করছেন তারা। ছাতিম, হিজল, তমাল, অশোক, দুর্লভ নাগলিঙ্গম, আফ্রিকান বটবৃক্ষ, বিদেশি এডেনিয়ামর।
তাছাড়া নন্দিত ফুলের বিলাস, কামিনী, করবী, ক্যামোলিয়া, কাঠমালতী, রঙ্গন ও জুঁই টগর গন্ধ বিলাচ্ছে তাদের ১৮ শত বর্গফুটের ছাদ থেকে। ১ বছর থেকে ৩০ বছর বয়সের বৃক্ষ আছে তাদের ছাদবাগানে। এখানে ১০ হাজার টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা দামের বনসাই আছে তাদের কাছে। তবে সেগুলো বিক্রির জন্য নয়। পরিচর্যা করছেন ভালোবাসে।
দূরদূরান্ত থেকে গাছপ্রেমীরা বনসাই গাছ পরিচর্যা দেখতে চলে আসেন ফয়েজ আহমেদের বাড়ির সাথে বাড়ির ছাদে।
শখের বসে বাড়ির দোতলার বারান্দায় পাঁচটি ক্যাকটাস ও দুটি বনসাই কিনে এনে পরিচর্চা শুরু করেন এই চিকিৎসক দম্পতি। সেগুলোর পরিচর্চা করতে গিয়ে তাঁরা বনসাইয়ের প্রেমে পড়ে যান। পরে বাড়ির ছাদে ধীরে ধীরে বনসাই ‘রাজ্য’ গড়ে তোলেন তাঁরা। আর সেগুলোকে তারা তুলে দিতে চান প্রজন্মের হাতে।
বাণিজ্যিক ও ব্যস্ততম নগরীতে ছাদবাগান একটি নিমূল পরিবেশ সৃষ্টি করে বলে জানালেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নারায়ণগঞ্জ সদরের উপকৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা হাসনাত। তিনি বলেন, শুধু পরিবেশ রক্ষায় নয় বনসাই করে অনেকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্ভীও হতে পারবেন।
নারায়ণগঞ্জের পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো মনে করেন, বৃক্ষপ্রমীদের সংখ্যা বাড়লে সব ধরনের দূষণ থেকে রক্ষা পারে এ নগরী।
এএইচ